২২ বছর পর অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জিতলো পাকিস্তান

স্পোর্টস ডেস্ক  | সোমবার , ১১ নভেম্বর, ২০২৪ at ৫:৫০ পূর্বাহ্ণ

খারাপ সময় কাটিয়ে উঠে সাফল্যের মুখ দেখছে পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়া সফরেও সফল হয়েছে তারা। চার পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হারিস রউফ ও মোহাম্মদ হাসনাইনের বোলিং নৈপুণ্যে ২২ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে পাকিস্তান। গতকাল সিরিজ নির্ধারনী তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে পাকিস্তান ৮ উইকেটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ২ উইকেটে এবং দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তান ৯ উইকেটে জিতেছিলো। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজ ২১ ব্যবধানে জিতলো পাকিস্তান। ২০০২ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিলো পাকিস্তান। ঐ সফরে তিন ম্যাচের সিরিজ ২১ ব্যবধানে জিতেছিলো ওয়াকার ইউনিসের নেতৃত্বাধীন দলটি। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দ্বিতীয় সিরিজ জয় পাকিস্তানের। পার্থে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের পেসারদের তোপের মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। ২১তম ওভারে ৮৮ রানে ৬ ব্যাটারকে হারায় অসিরা। এর মধ্যে দুই ব্যাটার দুই অংকে পা রাখতে পারেন। ওপেনার ম্যাথু শর্ট ১৯ ও অ্যারন হার্ডি ১২ রান করেন। আরেক ওপেনার জ্যাক ফ্রেজারম্যাকগার্কভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক জশ ইংলিশ ও কুপার কনোলি ৭ রান করেন। কনোলি আহত অবসর নেন। এছাড়া মার্কাস স্টয়নিস ৮ ও গ্লেন ম্যাঙওয়েল খালি হাতে বিদায় নেন। প্রথম ম্যাচেও রানের খাতা খুলতে পারেননি ম্যাঙওয়েল। অষ্টম উইকেটে এডাম জাম্পার সাথে ৩০ এবং নবম উইকেটে স্পেনসার জনসনকে নিয়ে ২২ রান যোগ করে অস্ট্রেলিয়াকে ১০০ রানের নীচে গুটিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করেন সিন অ্যাবট। তারপরও ৩১.৫ ওভারে ১৪০ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। অ্যাবট সর্বোচ্চ ৩০, জাম্পা ১৩ ও জনসন অপরাজিত ১২ রান করেন। বল হাতে পাকিস্তানের আফ্রিদিনাসিম ৩টি করে এবং রউফ ২টি ও হাসনাইন ১টি উইকেট নেন। ১৪১ রান তাড়া করতে নেমে ৮৪ রানের সূচনা করেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার সাইম আইয়ুব ও আব্দুল্লাহ শফিক। ১৮তম ওভারে অস্ট্রেলিয়ার পেসার ল্যান্স মরিসের বলে সাজঘরে ফিরেন দু’জনে। সাইম ৪টি চার ১টি ছক্কায় ৪২ এবং শফিক ১টি করে চারছক্কায় ৩৭ রান করেন। ৮৫ রানের মধ্যে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর তৃতীয় উইকেটে ৫৩ বলে ৫৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে ১৩৯ বল বাকী থাকতে পাস্ত্তিানের জয় নিশ্চিত করেন সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম ও বর্তমান অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৪টি চারে বাবর ২৮ এবং ১টি চার ও ২টি ছক্কায় রিজওয়ান ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচ ও সিরিজ সেরা হয়েছেন রউফ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকে ডি প্রভাতী ক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্টে জয় পেয়েছে সাঙ্গু
পরবর্তী নিবন্ধভারতের আপত্তিতে বিপাকে আইসিসি পাকিস্তানে সূচি নিয়ে অনুষ্ঠান স্থগিত