নগরীর পতেঙ্গায় বেসরকারি ইস্টার্ন লজিস্টিকস ডিপোতে ঘোষণার চেয়ে কম খাদ্যপণ্য রপ্তানির চেষ্টাকালে দুটি কন্টেনার আটক করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট ইনেভিস্টগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা। রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে কন্টেনার দুটি আটক করা হয় বলে সূত্র জানায়।
জানা গেছে, ঢাকার মতিঝিলের টয়েনবি সার্কুলার রোডের ঠিকানার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বাংলা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের ছোট কৃষ্ণদি মালয়েশিয়ায় এক লাখ ৩ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের ফুড স্টাফের দুইটি পণ্যচালান রপ্তানির লক্ষ্যে নগরীর গোসাইলডাঙ্গার জাফর ম্যানশনের ঠিকানার সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আর ইসলাম এজেন্সিকে মনোনয়ন দেয়। সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধি চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে গত ১৮ ডিসেম্বর এবং ২১ ডিসেম্বর বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল করেন। গোপন সংবাদ ভিত্তিতে এআইআর শাখার কর্মকর্তার কন্টেনার দুটি খুলে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে। এতে দেখা যায়, উভয় কন্টেনারের সামনে মুড়ি, ড্রাইকেক, টোস্টের কার্টন সাজিয়ে রাখা হলেও ভেতরে পুরো খালি। দুই কন্টেনারে ১১ টন করে মোট ২২ টন পণ্য থাকার কথা থাকলেও পাওয়া যায় এক টন পণ্য।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার (এআইআর) রেজাউল করিম বলেন, ডিপো কর্তৃপক্ষ ঘোষণা অনুযায়ী পণ্য বুঝে নিলেও কম পণ্য থাকার বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। এক্ষেত্রে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে কালো টাকা পাচার করে রপ্তানির নামে টাকা সাদা করার অপচেষ্টা করা হয়েছে মর্মে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাছাড়া রপ্তানি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করতে খাদ্যসামগ্রী রপ্তানির ক্ষেত্রে নগদ প্রণোদনা দেয় বাংলাদেশ সরকার। মানি লন্ডারিং, রপ্তানির আড়ালে কালো টাকা সাদা করা, অবৈধভাবে সরকারি প্রণোদনা গ্রহণের অপচেষ্টাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি খাতকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করেছে চোরাচালান চক্র। এ ঘটনায় কাস্টমস আইন অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং চালান দুটি মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের চেষ্টা করা হয়েছে কিনা সেটিও অনুসন্ধান করে দেখা হবে বলে জানান তিনি।