সেন্টমার্টিনের অদূরে বঙ্গোপসাগর থেকে অন্তত ২২ জন জেলেসহ ৪টি মাছ ধরার ফিশিং ট্রলার অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে মৌলভীরশীল নামক এলাকার বাংলাদেশের জল সীমানা থেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৪টি ফিশিং ট্রলার মাঝিমাল্লাসহ ধরে নিয়ে যায় এএ’র সশস্ত্র লোকজন।
এ ব্যাপারে টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া ফিশিং ট্রলার মালিক সমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, মঙ্গলবার সকালে সেন্টমার্টিনের অদূরে মাছ শিকারের সময় মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি সদস্যরা স্পিড বোট যোগে এসে মাছ শিকাররত ট্রলারগুলো নিয়ে যায়। এরমধ্যে একটি আমার, অপরটির মালিক মোহাম্মদ শাওন। এই দুইটিতে ১১ জন জেলে রয়েছে। এছাড়া একই স্থান থেকে আরও দুটি মাছ ধরার ট্রলার তারা নিয়ে গেছে। সেগুলোর মালিক ও ট্রলারের নাম জানা যায়নি। ওই দুটিতে ও ১০–১২ জন জেলে থাকতে পারে। তিনি বলেন, কিছুদিন পর পর আরাকান আর্মি এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। এ নিয়ে ট্রলার মালিক ও জেলেরা আতঙ্ক রয়েছে।
সাবরাং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান বলেন, সাগর থেকে আবারো মাছ ধরার ট্রলার চারটি ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। তবে সেগুলো কোন ঘাটের ট্রলার তা জানা যায়নি। তাছাড়া সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া আমার এলাকার বেশ কয়েকটি ট্রলারকে ধাওয়া করেছে আরাকান আর্মির সদস্যরা। সেগুলো ফেরত আসলে বিস্তারিত জানতে পারব।
কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনের লে. কমান্ডার সালাউদ্দিন রশিদ তানভীর বলেন, টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া ঘাটের দুটি ট্রলারের ১১ জন জেলেসহ দুটি ট্রলার ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। এছাড়া পৃথক আরও কিছু তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এ ব্যাপারে নিশ্চিত না হয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। টেকনাফ–২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান বলেন, সাগর থেকে ট্রলার ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, মাছ ধরার ট্রলারসহ জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। আলোচনার মাধ্যমে তাদের ফেরত আনার চেষ্টা চালানো হবে।
