ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবক আল আমিনের লাশ দীর্ঘ ২২ ঘণ্টা পর ফেরত দিয়েছে বাহিনীটি। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কসবা উপজেলার পুটিয়া সীমান্তের ২০৫০ নম্বর পিলারের সামনে দুই দেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনীর ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের পর লাশটি হস্তান্তর করা হয় বলে জানান বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়াউর রহমান।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পুটিয়া সীমান্তে কাঁটাতারের কাছে আল আমিনকে গুলি করে বিএসএফ সদস্যরা। পরে তাকে গুরুতর অবস্থায় ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে একটি হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। খবর বিডিনিউজের।
নিহতের স্বজনদের দাবি, আল আমিন পেশায় কৃষক। শুক্রবার সন্ধ্যায় তার একটি গরু সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে চলে যায়। গরুটিকে আনতে আল আমিন সীমান্ত অতিক্রম করতে গেলে বিএসএফ তাকে গুলি করে।
নিহতের লাশ ফিরিয়ে আনতে বিকেলে পতাকা বৈঠকে বসে বিজিবি ও বিএসএফ। বৈঠকে বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল জিয়াউর রহমান ও বিএসএফের পক্ষে ৪৯ ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডার অজিত কুমার নেতৃত্ব দেন। বিজিবি কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেজন্য বিএসএফকে সতর্ক করা হয়েছে।