২১ মাস পর বিএনপি নেতা কায়েছ কারাগার থেকে মুক্ত

| সোমবার , ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ৯:২৮ অপরাহ্ণ

জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি নেতা মোহাম্মদ কায়েছ। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান বলে নিশ্চিত করেছেন পটিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব খোরশেদ আলম।

তার নামে দায়ের করা হত্যা মামলায় জামিন পাওয়ায় তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

এদিকে নিহত সোহেল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিএমসিসিআই) সভাপতি এবং কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানের ভাগিনা ও পটিয়া উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেমের ছোট ভাই।

জানা যায়, ইউপি নির্বাচনের জের ধরে ২০২২ সালের ২২ এপ্রিল রাতে পটিয়া উপজেলা কাশিয়াইশ ইউনিয়নের বুধপুরা বাজার এলাকায় মোহাম্মদ সোহেলকে (৩৮) ছুরিকাঘাতে খুন করে মোহাম্মদ শরিফ।

এ ঘটনায় ২৩ এপ্রিল এলাকার বিতর্কিত সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাসেম (বর্তমানে বিএনপির মামলায় কারাগারে আছে) বাদী হয়ে ইউপি নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্ধী চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএনপি নেতা মোহাম্মদ কায়েছকে প্রধান এবং মোহাম্মদ শরীফ, মোহাম্মদ মনছুর, মোহাম্মদ সুমন, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, জসিমুল আনোয়ার খাঁন, মোহাম্মদ আজগর, কায়সার উদ্দিন জনিকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার একদিন পর হামলার ছুরিকাঘাতকারী মোহাম্মদ শরীফকে আটক করে পুলিশ। সেসময় শরীফ রিমান্ডে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। এতে শরীফ নিজে একাই ছুরিকাঘাত করে সোহেলকে বলে স্বীকারোক্তি প্রদান করেন।

কিন্তু তৎকালীন পটিয়া থানা পুলিশের ওসি রেজাউল করিম, এস আই সঞ্জয় কুমার ঘোষ, হাবিব ও পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিক রহমানের যোগসাজশে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর বিএনপি নেতা কায়েছ ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে আসার পথেই সীতাকুণ্ড এলাকা থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে গ্রেফতার করে। দীর্ঘ, ২১ মাস পর তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে আজ সোমবার কারাগার থেকে মুক্তি পান।

পরে সে মামলা হতে সমাজ সেবক জসীমুল আনোয়ার খান, মোহাম্মদ আজগরকে খালাস দেওয়া হয়। অন্য আসামিরা জামিন আছেন। মামলার ২ নং আসামি মোহাম্মদ শরীফ দুই বছর ধরে কারাগারে আছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটেকনাফে দালালদের সহায়তায় ২০টি পয়েন্ট দিয়ে আসছে রোহিঙ্গারা
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে সিএনজি চালকের উপর গুলিবর্ষণ : সেই যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার