নগরীর আকবরশাহ থানাধীন বিভিন্ন এলাকা থেকে তিনটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় চোর চক্রের মূল হোতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত শুক্রবার নগরীর আকবরশাহ থানা এলাকা ও কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মূল হোতা কমিল্লার নাঙ্গলকোট এলাকার মেহেদী হাসান মুন্না, মো. মামুন খন্দকার, জিহাদ হোসেন, শাহিনুল ইসলাম শুভ ও নোয়াখালী সদর এলাকার মো. রিয়াদ হোসেন। আকবরশাহ থানার ওসি গোলাম রব্বানী আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গত কয়েক মাসে আকবরশাহ থানাধীন পূর্ব ফিরোজশাহ কলোনিসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলের মালিকরা পৃথক পৃথক মামলা করেছেন। একপর্যায়ে আমরা বিষয়টি আমরা ক্ষতিয়ে দেখে প্রথমে চুরির হোতা মেহেদী হাসান মুন্না ও ও তার সহযোগী মো. রিয়াদ হোসেনকে আকবরশাহ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করি। তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী কুমিল্লা থেকে চোরাই মোটরসাইকেল ক্রেতা অপর তিনজনকে গ্রেপ্তার করি এবং তাদের হেফাজত থেকে তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
থানা পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামিরা পেশাদার মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য। তারা নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে ১০–২০ সেকেন্ডের মধ্যে মোটরসাইকেল চুরি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্রয়–বিক্রয় করে থাকে। থানার রেকর্ডপত্র ও সিডিএমএস পর্যালোচনায় গ্রেফতারকৃত মেহেদী হাসান মুন্নার বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানা ও নোয়াখালীর সেনবাগ থানায় ৮টি মামলা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার পরবর্তী আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওসি।