নগরীর নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মো. মনজুর আলম নামের ওই ব্যক্তি আব্দুল জব্বার নামের কুতুবদিয়ার এক মৎস্যজীবী হত্যা মামলায় ২০ বছর ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। তিনি কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার পুতুল নগর এলাকার মৃত নূর আহমেদের ছেলে।
র্যাব–৭ জানায়, ২০০৩ সালের দিকে কুতুবদিয়ার মাছ ব্যবসায়ীরা তাদের এলাকায় আহরিত মাছ নৌকায় করে চাক্তাই নতুন সেতুর মৎস্য ঘাট বাজারে এনে পাইকারি দরে বিক্রি করতেন। মৎস্যজীবী আব্দুল জব্বার, তার চাচাতো ভাই শওকত ও জয়নাল ২০০৩ সালের ৫ ডিসেম্বর কুতুবদিয়ার ধুরুং এলাকার মাছের ঘের থেকে বিভিন্ন জাতের ৫২ টন শুঁটকি চাক্তাই নতুন সেতু মৎস্য ঘাটে এনে বিক্রি করেন। ক্রেতা মাছের গুদামের মালিক ওই দিন টাকা না দিলে পরের দিন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। পরদিন টাকা নিয়ে আব্দুল জব্বার ও তার স্বজনরা নৌপথে কুতুবদিয়ায় নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। পথিমধ্যে কর্ণফুলী নদীতে তারা ডাকাতের কবলে পড়ে। একটি নৌকা থেকে ডাকাত দলের সদস্যরা তাদেরকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। সেই নৌকায় ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য হিসেবে ছিলেন আসামি মনজুর আলম, তার বাবা, ভাইসহ আরো কয়েকজন। আব্দুল জব্বাররা তাদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকাটি পতেঙ্গা কয়লার গর্তের দিকে নিয়ে অবস্থান করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ডাকাত দলের সদস্যরা তাদের ধরে ফেলে ও নৌকা থেকে নাবিককে নদীতে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে তারা আব্দুল জব্বারকে হত্যা করে এবং অন্যদের রক্তাক্ত জখম করে নদীতে ফেলে দেয়।
র্যাব–৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ২০১৭ সালের ২৯ জুলাই রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে মনজুর আলমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
