চট্টগ্রাম–১০ (ডবলমুরিং–পাহাড়তলী) আসনে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম। পেশায় ব্যবসায়ী এই নেতাও একজন শিল্পপতি। তিনি ২০টি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মনজুর আলমের বার্ষিক আয় কৃষিখাতে তিন লক্ষ ৮০ হাজার টাকা, বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্টে ৭২ লাখ ২২ হাজার ১৫৬ টাকা। এই খাতে স্ত্রীর আয় ১৬ লাখ ৮২ হাজার ৪৭৬ টাকা। এম মনজুর আলম ব্যবসা হতে আয় করেন ২০ লাখ ৭৫ হাজার ৮৫০টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত ৭৫ লাখ ৯৩ হাজার ৫০২ টাকা, পেশা হতে সম্মানি এক লাখ ৪৪ হাজার টাকা, খালি জায়গার ভাড়া বাবদ ১২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৬৮ টাকা। নির্ভরশীলদের বাৎসরিক আয় বাড়ি অ্যাপার্টমেন্টে ১৬ লাখ ৮২ হাজার ৪৭৬ টাকা ও শেয়ার, সঞ্চয়পত্রে আমানত ৯ লাখ ২০ হাজার ৮২৭ টাকা।
অস্থাবর সম্পদের মধ্যে মনজুর আলমের নিজ নামে নগদ টাকা ৯ লাখ ২৬ হাজার ৬৩৮ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থ ৬৭ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৫ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র, স্টক একচেঞ্জ তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার ৩৮ কোটি ৩৫ লাখ ২০ হাজার ২০৬ টাকা। চার লাখ ৩০ হাজার টাকা দামের একটি গাড়ি, ১২ লাখ ৩৩ হাজার টাকার স্বর্ণ আছে, চার লাখ আট হাজার টাকার আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিঙ সামগ্রী আছে। অন্যান্যের মধ্যে স্টক ও রিসিবেবল আছে ৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা। স্ত্রীর নামে নগদ আছে ৩৯ লাখ ৩৫ হাজার ১৭১ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৮৮ হাজার ০৬১ টাকা। বন্ড, ঋণপত্র, স্টক একচেঞ্জ তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার তিন কোটি ৩৭ লাখ ৭৬ হাজার ৫৬৫ টাকা, স্বর্ণ আছে ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, তিন লাখ তিন হাজার টাকার আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিঙ সামগ্রী আছে।
স্থাবর সম্পদের মধ্যে মনজুরের নিজ নামে কৃষি জমি আছে ২৫ লাখ ৫৩ হাজার ৪২০ টাকা, স্ত্রীর নামে চার লাখ ৮৪ হাজার ২০০ টাকা, দালান আছে নিজ নামে ১১ কোটি ২১ লাখ ৯১ হাজার ৯৭৩ টাকা, স্ত্রীর নামে এক কোটি ৭৯ লাখ ২৮ হাজার ৭১ টাকা, নিজ নামে ৫৪ লাখ ৮৪ হাজার ২৮৫ টাকার সম্পদ আছে। একটি ব্যাংকে ৯ কোটি ১৬ লক্ষ টাকার দায় আছে। বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার ঋণ আছে এই নেতার।