ফটিকছড়িতে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা দেয়ার সময় কাইছার হামিদ (৩৪) নামে এক ভুয়া ডাক্তারকে ধরা হয়েছে। গতকাল রবিবার সকালে নানুপুর ইসলামিয়া ওবাইদিয়া মাদ্রাসা থেকে ওই ভুয়া ডাক্তারকে আটক করা হয়। তিনি নিজেকে চমেক থেকে এমবিবিএস পাস করা ডাক্তার বলে দাবি করেন।
আটক ভুয়া চিকিৎসকের দেয়া তথ্য মতে, তিনি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার হানদার ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ছানোয়ার মাস্টার বাড়ির মোহাম্মদ ছালে আহমদের ছেলে।
মাদ্রাসা সূত্র জানায়, প্রায় ১০ দিন পূর্বে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে একটি নম্বর থেকে জানানো হয় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরপর থেকে ওই ব্যক্তি ২০টাকা ফি দিয়ে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা এবং ৪০–৫০ টাকা করে বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা করে যাচ্ছিলেন। এভাবে দেড় হাজার শিক্ষার্থীর সাথে তিনি চিকিৎসার নাম করে প্রতারণা শুরু করেন। একপর্যায়ে ওই ভুয়া চিকিৎসকের কথাবার্তা আচার–আচরণে সন্দেহ হলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায় তিনি একজন ভুয়া চিকিৎসক।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার শিক্ষক জাহিদ হাসান বলেন, আমরা প্রথমে এ প্রতারণার ফাঁদ বুঝতে পারিনি। ভুয়া চিকিৎসক দেড় হাজার শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা দিয়েছেন সাথে বিভিন্ন রক্তের পরীক্ষাও। তিনি একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ভুয়া চিকিৎসক। আটকের পর তাকে প্রশাসনের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। আমরা এর উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।
বিষয়টি নিশ্চিত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আরেফিন আজিম বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অভিযোগ পেয়ে আমি নিজে মাদ্রাসায় গিয়ে দেখেছি ওই লোক একজন ভুয়া চিকিৎসক। মূলত মো. আমান নামের একজন চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার এবং চমেকের চিকিৎসক বলে এ প্রতারণা করে যাচ্ছিলেন। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।