মাদক বিরোধী পৃথক বিশেষ অভিযান চালিয়ে সাত লাখ ইয়াবা জব্দ করেছে কক্সবাজারে ৩৪ বিজিবি। এ সময় ইয়াবা পাচারে সম্পৃক্ত থাকা ও বিজিবির ওপর হামলার অভিযোগে ৪ মহিলাসহ ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। গত শুক্রবার উখিয়া সীমান্তের রেজুপাড়া, গর্জনবুনিয়া ও পূর্ব ফারিরবিল থেকে এসব ইয়াবা উদ্ধার ও পাচারকারীদের আটক করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক বাজার মূল্য ১৪ কোটিরও বেশি টাকা।
আটককৃতরা হলেন উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের পাইন্যাশিয়া চরপাড়া এলাকার মৃত কবির আহম্মেদের ছেলে মো. মাহবুব (৩০), রত্নাপালং ইউনিয়নের করইবনিয়া এলাকার ইকবাল হোসেনের স্ত্রী সুফিয়া সুলতানা সুমি (২৬), ইকবালের মা ফাতেমা বেগম (৬৫), পশ্চিম দিঘীনালা এলাকার মো. কালু মিয়ার ছেলে মো. রফিক উল্ল্যাহ (২১), নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বড়ইতলী গ্রামের মো. রশিদ আহমদের ছেলে মো. রফিক আলম (৩০), উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের পূর্ব ফারিরবিল গ্রামের মো. বখতিয়ারের স্ত্রী সালেহা আক্তার (৩৫) ও শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম (৬০)। কক্সবাজার-৩৪ বিজিবির অধিনায়ক মো. মেহেদি হোসাইন কবিরের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি জানতে পারে সীমান্তের গর্জনবুনিয়া বিওপির আওতাধীন করবুনিয়া এলাকার ইয়াবা গডফাদার মো. ইকবাল হোসেনের বাড়িতে ইয়াবা মজুদ রয়েছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার গভীর রাতে ইকবালের বাড়িতে বিজিবির একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে বাড়ির বাথরুম সংলগ্ন গোপন কুঠুরিতে কৌশলে লুকায়িত ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ সময় বাড়িতে থাকা ৪ জনকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, পরে আটককৃত ইকবালের পরিবারের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গর্জনবুনিয়া গহীন পাহাড়ি এলাকায় লুকায়িত আরো ৬ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করে বিজিবি। ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় ইয়াবা গডফাদার করইবুনিয়া এলাকার আলী আহমেদের ছেলে মো. ইকবাল হোসেন এবং তার ভাই মো. ভুট্টো মিয়াকে পলাতক আসামি করে উখিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে বলে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
একই দিনে অপর আরেকটি অভিযানে সীমান্তের রেজুপাড়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ রফিক আলমকে আটক করা হয়। অন্যদিকে একইরাতে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের পূর্ব ফারিরবিল গ্রামের মো. বখতিয়ারের স্ত্রী সালেহা আক্তার ও শাশুড়ি আনোয়ারা বেগমকে ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ০৭ এপ্রিল কঙবাজার ৩৪ বিজিবি পালংখালী বিওপির টহলদলের উপর স্থানীয় চোরাকারবারীরা পাথর, ইট এবং দেশীয় অস্ত্র দ্বারা হামলা করে। এ সময় তারা পূর্ব আটককৃত আসামি বখতিয়ার আহম্মদকে ইয়াবাসহ ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় বিজিবি কর্তৃক দায়েরকৃত মামলায় তাদের আটক করা হয় বলে জানা গেছে। আটককৃত আসামিদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।