কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার কারণে ২০২৬ সালে আবার সশস্ত্র সংঘর্ষ হতে পারে ভারত এবং পাকিস্তানের। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক গবেষণা ও পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস–এর প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাসই দেওয়া হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
কনফ্লিক্টস টু ওয়াচ ইন ২০২৬ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জেরে দুই পরমাণু শক্তিধর দেশ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার মাঝারি সম্ভাবনা রয়েছে, যার মাঝারি প্রভাব পড়তে পারে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে। গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে বৈসরন উপত্যকায় সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছিলেন ২৬ জন। সেই হত্যাযজ্ঞের জবাবে পাকিস্তানের মাটিতে হামলা চালিয়েছিল ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশন সিঁদুর। ৬ মে রাত ১টা থেকে দেড়টার মধ্যে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। এরপর চারদিন ধরে সীমান্ত সংঘর্ষ এবং ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। এর জবাবে পাকিস্তানে বিমানবাহিনীর একাধিক ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। ১০ মে দু’দেশের যুদ্ধবিরতি হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, তার মধ্যস্থতাতেই ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে। কিন্তু যুদ্ধবিরতির পরও দুই দেশই প্রতিরক্ষা সাজ–সরঞ্জাম ক্রয় করতে থাকে। দুই দেশের নেতার কাছ থেকে উস্কানিমূলক বিবৃতিও চলতে থাকে। পেহেলগামে জঙ্গি হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত জম্মু–কাশ্মীরে বড় আর কোনও ধরনের হামলা না হলেও গোয়েন্দা তথ্য বলছে, এই শীতের সময়ে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বেড়েছে। কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস (সিএফআর)-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসী তৎপরতা অনেক বেড়ে যাওয়ার কারণেই আবার ভারত ও পাকিস্তানের সংঘাতে জড়িযে পড়ার মাঝারি সম্ভাবনা আছে। ভারত অতীতে বেশ কয়েকবারই বলেছে যে তাদের অপারেশন সিঁদুর শেষ হয়নি।












