কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডে (কেজিডিসিএল) ২০২২ সালে আওয়ামী লীগ আমলে দেয়া তিন শতাধিক নিয়োগ বাতিলের দাবিতে জিয়া নাগরিক পরিষদ ও নিয়োগ বঞ্চিত কয়েক শত পরীক্ষার্থীর উদ্যোগে গতকাল কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন অফিসের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ছাত্র–জনতার গণবিপ্লব আগস্ট ২০২৪ পরবর্তী বাংলাদেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি দপ্তর হতে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বিতাড়িত করা হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, কেজিডিসিএল এ আওয়ামী ফ্যাসিস্টগণ এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছে। গত ডিসেম্বর ২০২৪ এ কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ তাদের বিষয়ে অবগত থাকার পরও ফ্যাসিস্টদের পদোন্নতি কার্যকর করেছে। তাদের পদোন্নতি বাতিল করে সাম্প্রতিক পদোন্নতি প্রাপ্তদের প্রাথমিক নিয়োগ ও নিয়োগ নথি পুনরায় যাচাই–বাছাই করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ ও শ্রমিক লীগের তালিকাভুক্ত পদধারী নেতা কেজিডিসিএলে দাপটের সাথে চাকরিতে বহাল রয়েছে, দ্রুত তাদের বিষয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আওয়ামী সরকারের আমলে জারিকৃত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে স্বচ্ছতার সাথে পুনঃনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।
তারা দাবি করেন, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন ২০২২ সালে যে নিয়োগ বাস্তবায়ন করে তা অবৈধ প্রক্রিয়ায় দলীয় লোকদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অবিলম্বে যদি তা বাতিল করতে হবে। না হয় চট্টগ্রামবাসীকে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে। তারা বলেন, রাজস্ব খাতে স্থায়ী কর্মচারী নিয়োগে প্রাইভেট/বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দ্বারা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মুদ্রণ ও মূল্যায়ন করা হয়েছে। এতে স্পষ্ট বুঝা যায়, রাজস্ব খাতে স্থায়ী কর্মচারী নিয়োগে যথাযথ নিয়ম নীতি অনুসরণ করা হয়নি। অতিসত্বর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল পূর্বক পুনরায় রাজস্ব খাতে স্থায়ী কর্মচারী নিয়োগ প্রকাশ করতে হবে। কেজিডিসিএল এর অবৈধ সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়ার দাবি জানিয়ে তারা বেশ কিছু কর্মকর্তা কর্মচারীর নামোল্লেখ করে তাদেরকে ফ্যাসিবাদের দোসর আখ্যায়িত করে অবিলম্বে তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করারও দাবি জানান। তারা বলেন, সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেটের সদস্যরা অবৈধ গ্যাস সংযোগ, গ্যাস চুরি বাণিজ্যে লিপ্ত রয়েছে। অবৈধ সিন্ডিকেট ভেঙে সিন্ডিকেটে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।