ঢাকার মতিঝিলের দিলকুশায় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ে বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়ে ব্যাংকটির কর্মকর্তা–কর্মচারীদের একাংশ বলছেন, ২০১৭ সালের পর থেকে নিয়োগ পাওয়াদের আর ব্যাংকে ঢুকতে দেবেন না তারা। তাদের অভিযোগ, ২০১৭ সাল থেকে ব্যাংকটিতে নানা অসদুপায় অবলম্বন করে কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। তাদের মাধ্যমে নিয়মবহির্ভূতভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়া হয়েছে। এসব করে ইসলামী ব্যাংকটিকে জিম্মি করা হয়েছে। এখন মুক্ত করার সময় এসেছে। খবর বিডিনিউজের।
ব্যাংকটির সিবিএ নেতা আনিসুর রহমান বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বলেন, ২০১৭ সাল থেকে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ একটি বিশেষ গ্রুপের কাছে দখল হয়ে যায়। তারপর ব্যাংকটিতে পরীক্ষা ছাড়াই নানা রকমের নিয়োগ দেওয়া হয়, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। অনেক কর্মকর্তাকে জোর করে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হয়, তাদের চাকরি ফিয়ে দিতে হবে।
২০১৭ সালের জুন থেকে বাজার থেকে শেয়ার কিনে ব্যাংকটির মালিকানায় চলে আসে এস আলম গ্রুপ। ব্যাংকটির প্রায় অধিকাংশ শেয়ার কিনে নেয় তারা। এরপর দেশি–বিদেশি অনেক কোম্পানি ও ব্যক্তি শেয়ার ছেড়ে দিতে শুরু করেন।
আনিসুর রহমান বলেন, ওই সময়ের পর থেকে নিয়োগপ্রাপ্তরা অবৈধভাবে নিয়োগ পেয়েছেন। সে সময়ে অবৈধভাবে চাকরি নেওয়াদের এই ব্যাংকে আর প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। যারা অন্যায়–অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদের বিচারের আওয়তায় আনতে হবে। ব্যাংকটির স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে হবে। উপস্থিত বিক্ষুব্ধকারীরা আনিসুর রহমানের অভিযোগগুলোর বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেন। এসময় তার কথার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে দেখা যায় তাদের। এর আগে ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার ভাঙচুর করেন বিক্ষোভকারী কর্মকর্তা–কর্মচারীরা।
গণআন্দোলন ও জনরোষের মুখে সোমবার শেখ হাসিনার পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যাওয়ার পর দৃশ্যপট বদলে যেতে থাকে। বিক্ষুব্ধ ছাত্র–জনতা ঢাকার নিয়ন্ত্রণ নেয়। গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও পার্লামেন্টে ঢুকে ভাঙচুর করাসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থাপনা ও ভবনে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। ঘটনাবহুল সোমবারের পর মঙ্গলবারও এর ধারাবাহিকতা দেখা যায়। আওয়ামী লীগ সরকার উল্টে যাওয়ার খবরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নানামুখী তৎপরতার খবর আসছে।