২শ মেট্রিক টন পণ্য নিয়ে কক্সবাজার থেকে জাহাজ গেল সেন্টমার্টিন

কক্সবাজার প্রতিনিধি | শনিবার , ১৫ জুন, ২০২৪ at ৫:৪৯ পূর্বাহ্ণ

টেকনাফসেন্টমার্টিন নৌরুটে নিরাপত্তা সংকটের কারণে এবার কক্সবাজার শহর থেকে প্রায় ২শ মেট্রিক খাদ্য ও নিত্যপণ্য নিয়ে জাহাজ গেল সেন্টমার্টিনে। কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে ‘এমভি বারো আউলিয়া’ নামে একটি জাহাজে করে এসব পণ্য পাঠানো হয়েছে। বেলা আড়াইটার দিকে কক্সবাজার শহরের বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে জাহাজটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এবং রাত ১০টার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছে। মিয়ানমারের রাখাইনে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির মধ্যে চলা সংঘাতের জেরে কক্সবাজারের টেকনাফসেন্টমার্টিন নৌ রুটে ৮ দিন ধরে ট্রলার চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে এই বঙ্গোপসাগর দ্বীপের ১০ হাজার বাসিন্দা খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সংকটে পড়ে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সেন্টমার্টিন থেকে তিনটি ট্রলারে করে দুই শতাধিক হোটেল শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ টেকনাফ পৌঁছান। এ সময় টেকনাফ থেকে বিকল্প সাগরপথে চারটি ট্রলারে করে তিন শতাধিক লোক সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দেয়। দ্বীপের বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখতে গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শহরের বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে ‘এমভি বারো আউলিয়া’ নামের জাহাজটিতে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন ও তেলসহ নানা ধরনের ভোগ্যপণ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য তোলা হয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেন জানান, দ্বীপের জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সমন্বয় করে মালামাল নিয়ে জাহাজটি সেন্টমার্টিনে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজারে জরুরি কাজে এসে আটকে পড়া দ্বীপের ১৫০ জন বাসিন্দাও একই জাহাজে করে ফিরে গেছে। এছাড়া দ্বীপে কর্মরত বিজিবি এবং কোস্ট গার্ডের সদস্যরাও তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য নিয়ে এই জাহাজে করে কর্মস্থলে গেছে।

তিনি জানান, এই জাহাজে ব্যবসায়ীদের নিজস্ব মালামালের পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের জন্য বরাদ্দ করা ভিজিএফ চাল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ঈদের উপহার এবং ৫টি কোরবানির পশু পাঠানো হয়েছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, এক সপ্তাহ ধরে নাফ নদীর নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় মিয়ানমার সীমান্ত থেকে বাংলাদেশি ট্রলার ও স্পিডবোট লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হচ্ছে। এ কারণে টেকনাফসেন্টমার্টিন নৌরুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে দ্বীপে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।

মিয়ানমারের রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দেশটির সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির মধ্যে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সংঘাত চলে আসছে। এবার যুদ্ধের আঁচ লেগেছে বাংলাদেশ সীমান্তের গ্রামগুলোতে। তবে বাংলাদেশি ট্রলারগুলো লক্ষ্য করে সীমান্তের ওপর থেকে কারা গুলি করছে তা নিশ্চিত করতে পারছে না কেউই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপশুর হাটের ক্রেতা বিক্রেতারাই অপরাধীদের টার্গেট
পরবর্তী নিবন্ধবেড়েছে বিক্রি, জমজমাট হাট