১ বছর পর ফের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

বন্দরে কোকেন জব্দ

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৬:৫১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে তরল কোকেন আমদানির ঘটনায় করা মাদক আইনের মামলায় ফের সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে হাজির হয়ে তিনজন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। সর্বশেষ ২০১৯ সালের শেষের দিকে এ মামলায় চারজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে করোনা মহামারির কারণে সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। আগামী ৩ মার্চ এ মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে মহানগর পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, করোনা মহামারির কারণে গত ১ বছর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার (গতকাল) তিনজন সাক্ষীর (ফারুক হোসেন, আবু মুসা জামাল ও মনিরুল ইসলাম) সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে ফের সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি সাক্ষীদেরও সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। ফখরুদ্দিন চৌধুরী আরও জানান, এ মামলায় এ পর্যন্ত মোট ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। অবশিষ্ট রয়েছে আরও ৫২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ।
২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল চাঞ্চল্যকর এ মামলায় ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এর আগে এ ১০ জনকে আসামি করে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট জমা দেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব। চাজশিটভুক্ত ১০ আসামি হলেন- খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ, তার ভাই মোস্তাক আহম্মদ, খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেল, মোস্তফা কামাল, আইটি বিশেষজ্ঞ মেহেদী আলম, আতিকুর রহমান, কসকো বাংলাদেশ শিপিং লাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (করপোরেট, বিক্রয় ও বিপণন) এ কে এম আজাদ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী ফজলুর রহমান, বকুল মিয়া এবং সিঅ্যান্ডএফ কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আলোচিত এ মামলার ১০ আসামির মধ্যে বর্তমানে ২ জন আসামি (খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেল ও বিশেষজ্ঞ মেহেদী আলম) কারাগারে আছেন। বাকিদের মধ্যে খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ ও তার ভাই মোস্তাক আহম্মদসহ ৪ জন পলাতক ও ৪ জন জামিনে আছেন।
২০১৫ সালের ৬ জুন পুলিশের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কোকেন সন্দেহে চট্টগ্রাম বন্দরে সূর্যমুখী তেলের একটি চালান জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। এরপর ২৭ জুন তেলের চালানের ১০৭টি ড্রামের মধ্যে একটি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়। বলিভিয়া থেকে আসা চালানটির প্রতিটি ড্রামে ১৮৫ কেজি করে সূর্যমুখী তেল ছিল। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাসায়নিক পরীক্ষাগারসহ চারটি পরীক্ষাগারে তেলের চালানের দুটি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়। এ ঘটনায় নগরীর বন্দর থানায় ২০১৫ সালের ২৭ জুন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও চোরাচালান আইনের ধারায় একটি মামলা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাহাড়তলী বধ্যভূমি প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে না?
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে আরো ৫৭ জনের করোনা শনাক্ত