খেলাটি ১২০ বলের। সেখানে ১০১ বল হাতে রেখে জয় পাওয়াটা একটি রেকর্ড। অবিশ্বাস্য হলেও সেটিই করে দেখিয়েছে চলতি বিশ্বকাপের আসর থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায় থাকা ইংল্যান্ড। ওমানকে ৪৭ রানের অলআউট করে দিয়ে ১০১ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয় তুুলে নিয়েছে ইংলিশরা। আগের দিন ৩৬ বলে ম্যাচ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। একদিন পর সে রেকর্ড ভেঙ্গে ইংল্যান্ড গড়লেন নতুন রেকর্ড। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এর আগে কেউ এত বেশি বল হাতে রেখে জিততে পারেনি। এর আগে দ্রুততম জয়ের রেকর্ডটি ছিল ৯০ বল হাতে রেখে। সেটি ছিণ শ্রীলঙ্কার। ২০১৪ সালের আসরে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৯০ বল হাতে রেখে জিতেছিল লঙ্কানরা। অ্যান্টিগুয়ার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে স্বল্প রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম দুই বলে ২টি ছক্কায় হাঁকান ওপেনার ফিল সল্ট । ৩ বলে ১২ রান করেন তিনি । বিলাল খানের পরের বলে বোল্ড হন সল্ট। ৫ বলে ৭ রান করে আউট হন উইল জ্যাকস। জস বাটলারের ৮ বলে ২৪ আর জনি বেয়ারস্টোর ২ বলে ৮ রানের অপরাজিত ইনিংসে দাপুটে জয় পায় ইংল্যান্ড। অথচ ওমানের বিপক্ষে বাঁচামরার ম্যাচে মাঠে নেমেছিল ইংলিশরা। সুপার এইটের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে বড় ব্যবধানে জিততে হবে । সেটি আগে থেকেই জানা ছিল বাটলারের দলের।
সেই লক্ষ্যে টস জিতে ওমানকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে মাত্র ৪৭ রানে গুটিয়ে দেয় ইংল্যান্ড। চলতি বিশ্বকাপে এটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউটের রেকর্ড। আর টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই রেকর্ডটি চতুর্থ সর্বনিম্ন। এর আগে গত ৮ জুন উগান্ডাকে ৩৯ রানে অলআউট করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চলতি বিশ্বকাপ, এমনকি টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসেও এটি সর্বনিম্ন রানে অলআউটের রেকর্ড। এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা রেকর্ডটিও ৩৯ রানের। ২০১৪ সালে নেদারল্যান্ডসকে ৩৯ রানে অলআউট করেছিল শ্রীলঙ্কা। আর তৃতীয় স্থানে থাকা লজ্জার রেকর্ডটি নেদারল্যান্ডসের। এখানেও প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। ২০২১ সালের আসরে ডাচদের মাত্র ৪৪ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল লঙ্কানরা। এদিন ৫.১ ওভার পর্যন্ত ওমানের রান ছিল ২ উইকেটে ২৪। এরপর বাকি ২৩ রান করতে গেছে ৮ উইকেট। দুই অংকের ঘর স্পর্শ করতে পেরেছেন কেবল শোয়াইব খান। ২৩ বলে খেলে ১১ রান করেছেন তিনি। বাকিরা কেবল আসলেন আর গেলেন। ইংল্যান্ডের হয়ে ৪ ওভার বল করে ১১ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেন আদিল রশিদ। তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন জোফরা আরচার ও মার্ক উড।