‘নাশকতার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠককালে’ কক্সবাজার শহরের কলাতলীর একটি হোটেল থেকে ১৯ ইউপি সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাত ১২টা নাগাদ হোটেল ইউনি রিসোর্টের সম্মেলন কক্ষ থেকে তাদের আটক করা হয়। গতকাল শনিবার যাচাই–বাছাই শেষে তাদের ১৫ জনকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাদেরকে জেল হাজতে পাঠায়।
কোনো অভিযোগ না থাকায় চারজনকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানান, কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী।
হোটেল ইউনি রিসোর্টের দায়িত্বশীল লোকজন জানান, শুক্রবার দুপুর ২টায় জেলার ৯টি উপজেলার ইউপি সদস্যদের নিয়ে গঠিত সংগঠন মেম্বার অ্যাসোসিয়েশনের আলোচনা সভায় অংশ নিয়েছিলেন ওই ইউপি সদস্যরা। পরে রাতের বেলায় পুলিশ এসে সভাটি পণ্ড করে দেয়। এর আগে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে পুলিশ হল রুমটি ঘেরাও করে রাখে। পরে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় পুলিশ।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ফয়জুল আজিম নোমান জানান, আওয়ামী লীগ সমর্থিত ইউপি সদস্যরা নাশকতার উদ্দেশ্যে ইউনি রিসোর্টে গোপন বৈঠক করছে–এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচলনা করা হয়। ওই বৈঠকে ৭০ জন ইউপি সদস্য ছিল। তাদের মধ্যে অভিযুক্ত ১৯ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের মধ্যে চারজনকে ছেড়ে দেয়া হয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সরকার বিরোধী বৈঠকের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৯ জন ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। পরে থানায় তাদের ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং স্থানীয় পর্যায় থেকে খোঁজ–খবর নেয়া হয়। কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় চারজনকে থানা থেকেই ছেড়ে দেয়া হয়। তবে সন্দেহভাজন হিসেবে ১৫ জনকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
তবে বৈঠকে অংশ নেয়া মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. সেলিম বলেন, আমরা কোনো গোপন বৈঠক করিনি। প্রকাশ্যে আয়োজন করে বৈঠক করেছি। আমরা সরকারের বিরুদ্ধেও বৈঠক করিনি। আমাদের দাবি–দাওয়া এবং বর্তমান সরকারকে সহযোগিতা ও সুন্দরভাবে দায়িত্ব পরিচালনার জন্য করণীয় বিষয়ে আলোচনার জন্য সমাবেশ করেছি।