১৯ আশ্রয়কেন্দ্রে ৬শ মানুষকে স্থানান্তর

পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস ।। সন্ধ্যার পর ফিরে গেলেন অনেকে

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৭ জুন, ২০২১ at ৫:২০ পূর্বাহ্ণ

ভারী বৃষ্টিপাত হলেই পাহাড় ধসের আশঙ্কা থাকে চট্টগ্রামে। থাকে প্রাণহানির শঙ্কাও। তাই পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে এবারও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল প্রশাসন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নগরীর ১৮টি পাহাড়ে একযোগে মাইকিং করেছে জেলা প্রশাসন। এসব পাহাড় থেকে দেড়শ পরিবারের প্রায় ৬০০ লোককে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তাদের জন্য সেখানে থাকার ব্যবস্থার পাশাপাশি পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও খিঁচুড়ির ব্যবস্থা করা হয়। ছিল চিকিৎসা ব্যবস্থাও।
এদিকে সন্ধার পর বৃষ্টি কমে আসার সাথে সাথে দৃশ্যপট পাল্টাতে থাকে। প্রতিবারের মতো এবারও প্রশাসনের কর্মকর্তারা চলে যাওয়ার পর অনেক লোক আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে পাহাড়ে ফিরেছেন বলে জানা গেছে।
জেলা প্রশাসন জানায়, ঝুকিপূর্ণ এসব পাহাড়ের পাদদেশে প্রায় ১৬০০ পরিবারের বসবাস রয়েছে। গতকাল রোববার দেড়শ পরিবারের লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ঝুঁকিতে থাকা অন্যদেরও সরিয়ে নেয়া হবে বলে দৈনিক আজাদীকে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান।
এদিকে চসিকের অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. মোরশেদুল আলম চৌধুরী আজাদীকে জানান, মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে তারাও লালখান বাজার মতি ঝর্না এলাকা ও শহীদনগর পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে গেছেন। আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে কোনো কমিউনিটি সেন্টার রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কোনো কমিউনিটি সেন্টার নেই। বিভিন্ন স্কুলকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করেছি।
গতকাল মতিঝর্ণা এলাকায় ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আহমেদ অনিক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা জান্নাত চৌধুরী। তাঁরা বলেন, মতিঝর্ণা পাহাড়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দুই দফা মাইকিং করা হয়েছে। আড়াই শতাধিক লোককে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। লালখান বাজার সরকারি স্কুল ও শহীদনগর সিটি কর্পো. উচ্চ বিদ্যালয়ে তাদের রাখা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আহমেদ অনিক বায়েজিদের মিয়ার পাহাড় থেকে প্রায় ২০ পরিবারের ১০০ লোককে সরিয়ে নিয়েছেন রউফাবাদ আলিম মাদ্রাসায়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. এনামুল হক ফয়’স লেক ও পলিটেকনিক ও বায়েজিদ লিংক রোড এলাকায় যান। তিনি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে ২৫ জন লোককে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেন। লালখানবাজার পোড়া কলোনি, ডেবারপাড়, একে খান পাহাড়, বাটালি হিল থেকে গতকাল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী প্রায় ৭০ পরিবারের ২০০ লোককে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেন।
উক্ত কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেয়া জেলা প্রশাসনের এডিসি (রেভিনিউ) মোহাম্মদ নাজমুল আহসান আজাদীকে বলেন, নগরীর ১৮টি ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলার বেশ কয়েকটি পাহাড়কে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহিৃত করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে বজ্রপাতে সাত মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধসমন্বিত অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করতে হবে