গত ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উক্ত বছরের ৯ ডিসেম্বর থেকে প্রতি বছর পৃথিবীর নানা স্থানে সংঘটিত গণহত্যার শিকার/ নির্যাতিত ব্যক্তিদের মর্যাদাময় স্মরণ এবং এরূপ অপরাধ প্রতিরোধের নিমিত্তে বিশ্বব্যাপি মানবিক দায়িত্বশীলতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। ৬৭ বছর পর ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের জেনোসাইড কনভেনশন-এর আলোকে ২০১৫ সাল থেকে আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যা দিবস (৯ ডিসেম্বর) পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ক্রমবর্ধমান গণহত্যা বা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এবং এরূপ অপরাধ প্রতিরোধের জন্য মানবিক ও দায়িত্বপূর্ণ পৃথিবী গড়ার লক্ষ্যে দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ২০১৫ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গণহত্যা দিবস উদযাপনের ঘোষণা অবধি বাঙালিদের বিরুদ্ধে সংঘটিত ১৯৭১ সালের গণহত্যা বিষয়ে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য তেমন উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি। আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণার দুই বছর পর, এবং স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর বাংলাদেশ সরকার ২০১৭ সালের ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এটি অবশ্যই আশার কথা। কিন্তু, অদ্যাবধি গণহত্যার স্বীকৃতির জন্য বিশ্বব্যাপি কার্যকর চাপ পরিদৃষ্ট হয়নি।
২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের রাজধানী স্যাক্রামেন্টোতে ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি-এর এথনিক স্টাডিজ বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ‘ফর্ম অব জেনোসাইড আ্যাক্রস দি গ্লোব: চ্যালেঞ্জেস, রেসপন্সেস এন্ড একাউন্টিবিলিটি’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে রোহিঙ্গা গণহত্যার ওপর একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছি। সেখানে বিশ্বের নানা স্থানে সংঘটিত অসংখ্য গণহত্যার উপর শতশত প্রবন্ধের উপর ব্যাপক আলোচনা প্রত্যক্ষ করে নিজেদের দৈন্যতায় দুঃখবোধ হয়েছে যে, সকল উপাদান ও প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের গণহত্যা স্মৃতির আড়াল হতে আর বেশি দেরি নেই। ২০১৭ সালে সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়া শুরু হলেও বিগত বছরগুলোতে ‘৭১-এর গণহত্যার র স্বীকৃতির জন্য কোনো কার্যকর পদক্ষেপ পরিদৃষ্ট হয়নি। এই উপলব্ধি থেকে বর্তমান লেখার তাগিদ।
পৃথিবীজুড়ে সংঘটিত উল্লেখযোগ্য গণহত্যাগুলোর মধ্যে আর্মেনিয়ান, ইহুদি, তুতসি, রুয়ান্ডা, বসনিয়া ইত্যাদি গণহত্যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এমন-কি সামপ্রতিক সময়ে বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ মায়ানমারে সংঘটিত রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতাও বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে ব্যাপকভাবে আলোচিত, যা বর্তমানে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারাধীন। তথাপি ১৯৭১ সালে বাঙালিদের উপর পাকিস্তানী সামরিক জান্তা কর্তৃক সংঘটিত নৃশংসতা অদ্যাবধি গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি।
বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের স্বাধীনতার জন্য যখন বাঙালি মুক্তিকামী জনতা তাদের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যুদ্ধের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছিলো, ঠিক সেই সময়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ঢাকা শহরের নানা স্থনে সর্বস্তরের বাঙালিদের উপর অতর্কিত আক্রমণ চালায় এবং নির্বিচারে শত শত বাঙালি হত্যা করেছে। ঐ কালরাত্রে কত বাঙালি শহীদ হয়েছেন তা সঠিকভাবে নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি; কারণ গণহত্যাকে আড়াল করার জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনী সাংবাদিকদের অনেকটা অন্তরীণ করে রাখে, বিদেশি সাংবাদিকদের বিদেশ পাঠিয়ে দেয়, এবং ঢাকা শহরের সর্বত্র মানুষের চলাচল বাধাগ্রস্থ করে।
২৫ মার্চের গণহত্যার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ডাকে (স্বাধীনতার ঘোষণা: ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’) ২৬ মার্চ থেকে বাঙালিদের সশস্ত্র স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়। দীর্ঘ নয় মাস জুড়ে চলে রক্তাক্ত যুদ্ধ। যে যুদ্ধে প্রায় ৩০ লক্ষ বাঙালি শহীদ হয় এবং দুই লক্ষ নারী ধর্ষণসহ যৌন নির্যাতনের শিকার হন। এখানেই শেষ নয়, পাক হানাদার বাহিনী যখন আত্মসমর্পণের দ্বারপ্রান্তে তখন জাতিকে মেধাশূন্য করার প্রয়াসে পরিকল্পিতভাবে ১৪ ডিসেম্বর রাতে বেছে বেছে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়। তার দুই দিন পর ১৬ ডিসেম্বর বিকালে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হলে বাঙালিদের বিজয় সুনিশ্চিত হয়; জন্ম হয় নতুন দেশ, বাংলাদেশ।
কিন্তু বাংলাদেশ নামক শিশুর জন্মের অব্যবহিত পূর্বের নয় মাস জুড়ে বাংলা মায়ের যে বিসর্জন, যে নজিরবিহীন যন্ত্রণা তা জন্মের আনন্দে ধীরে ধীরে অনেকটা ম্লান হয়ে যায়। প্রতিবছর বিভিন্ন জাতীয় দিবসে শিকার/ নির্যাতিতদের স্মরণ করা হলেও, ১৯৭১ সালে সংঘটিত পৃথিবীর ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যার স্বীকৃতির বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগের অভাব দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে প্রতিভাত। একাত্তরের ঘাতক দালাল নিমূল কমিটিসহ কয়েকটি সংগঠন এ ব্যাপারে সোচ্চার থাকলেও সরকারীভাবে প্রত্যাশিত উদ্যোগের অভাব অস্বীকার করা যাবে না।
১৯৭১ সালের গণহত্যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বা পালিত না হলেও, আন্তর্জাতিক সংস্থা বিশ্বের অন্যান্য স্থানে সংঘটিত এই ধরনের নৃশংসতাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে (যেমন রুয়ান্ডা, রোহিঙ্গা)। জাতিসংঘের গণহত্যা কনভেনশন (অনুচ্ছেদ ২, ১৯৪৮)-এর সংজ্ঞা অনুযায়ী বাঙালিদের বিরুদ্ধে সংঘটিত পাকিস্তান বাহিনীর নৃশংসতা নিঃসন্দেহে একটি জঘণ্যতম গণহত্যা। এই কনভেনশনে পাঁচটি প্রধান বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ রয়েছে: কোন জনগোষ্ঠীর মানুষকে হত্যা করা; তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিসাধন করা; জীবনমানের প্রতি আঘাত ও শারীরিক ক্ষতিসাধন; জন্মদান বাধাগ্রস্ত করা; এবং শিশুদের অন্য গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া। এই পাঁচটি উপাদানের কোন একটির উপস্থিতি ঘটলেই কোনো অপরাধকে গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। এক্ষত্রে সংখ্যা প্রধান বিবেচ্য নয়। আর যদি সংখ্যা বিবেচনায় নেওয়া হয় তাহলে ১৯৭১ এর গণহত্যা প্রধান কয়েকটির একটি। ১৯৭১ সালে জন্মদানে সরাসরি বাধাগ্রস্থ করা না হলেও, সারাদেশে যে অরাজকতা অব্যাহত ছিল তা গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য চরম অনিরাপদ ছিল। তাছাড়া বহু গর্ভবতী নারীও ধর্ষণসহ যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন, এবং অসংখ্য শিশুদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। অর্থ্যাৎ, ১৯৪৮ সালের সংজ্ঞা অনুযায়ী সকল উপাদানের উপস্থিতির পাশাপাশি, ১৯৭১ এর নৃশংসতার সাথে যোগ হয়েছে দুই লক্ষ নারীর উপর নৃশংস যৌন নির্যাতন। ধর্ষণকে পাকিস্তানপন্থীরা একটি যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে চরমমাত্রায় প্রয়োগ করেছে। তারা বহু অমুসলিমকে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিতও করেছে। পরিকল্পিতভাবে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে জাতিকে মেধাশূন্য করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। এ সকল বর্বরতা প্রমাণ করে ১৯৭১ সালে সংঘটিত পাকিস্তানি নৃশংসতা ইতিহাসের অন্যতম জঘণ্য গণহত্যা। অর্থাৎ সংখ্যাগত দিক থেকে এবং নৃশংসতার মাত্রা, উভয় বিবেচনায় ১৯৭১ এর পাকিস্তানী তাণ্ডব, মানবতার বিরুদ্ধে চরমতম অপরাধ, যা গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃত না হওয়া ইতিহাসের প্রতি উপহাস বৈ কিছু নয়।
ঐতিহাসিক ও প্রামাণিক তথ্যের ভিত্তিতে দাবি করা যায়, জাতিসংঘের ১৯৪৮ এর জেনোসাইড কনভেনশন অনুযায়ী ১৯৭১ সালে বাঙালিদের বিরুদ্ধে যে নৃশংসতা সংঘটিত হয়েছিল তা ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের চেয়েও বহুমাত্রায় প্রকট ছিল। জাতিসংঘের গণহত্যা কনভেনশন ছাড়াও প্রখ্যাত গণহত্যা বিশেষজ্ঞ গ্রেগরি স্ট্যান্টন (১৯৯৬) বর্ণিত দশটি ধারাবাহিক পর্যায়ের (শ্রেণিবিন্যাস, প্রতীকীকরণ, বৈষম্য, অমানবিককরণ, সংগঠন, মেরুকরণ, প্রস্তুতি, নিপীড়ন, নির্মূল, ও অস্বীকৃতি) চরম উপস্থিতি প্রমাণ করে বাঙালিদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি নৃশংসতা নিঃসন্দেহে একটি পাশবিক গণহত্যা। হত্যাযঙ্গ ও নির্যাতনের দিক থেকে সংখ্যার বিবেচনায়ও তা অনেক বেশি ভয়াবহ ছিল। মায়ানমারে গণহত্যার শিকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও সহায়তা প্রদানের জন্য বাংলাদেশকে জাতিসংঘসহ বিশ্বের সকল মহল প্রশংসিত করেছে, অথচ বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে সংঘটিত গণহত্যা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ অনেকটা নির্লিপ্ত। আন্তর্জাতিক সংস্থা ছাড়াও বাংলাদেশের ভূমিকাও এক্ষেত্রে যথোচিত নয়। আন্তর্জাতিক মহলে এই ঘৃণ্য গণহত্যার প্রশ্নে আশ্চর্যজনকভাবে উদাসীন থাকলেও, রোহিঙ্গা গণহত্যার স্বীকৃতি ও বিচারের প্রশ্নে বাংলাদেশ অত্যন্ত সোচ্চার ও মানবিক। অথচ ’৭১-এর গণহত্যার স্বীকৃতি ও বিচার সময়ের দাবি, ইতিহাসের প্রাপ্য এবং বাংলাদেশের ভূমিষ্টকালীন ব্যাথা-বেদনা ও নাড়ি-নক্ষত্র।
কেবল মুক্তিযুদ্ধের বিজয়গাথা নিয়ে আত্মতুষ্ট থাকাই যথেষ্ট নয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও প্রামাণিক ইতিহাস ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হলে গণহত্যার স্বীকৃতি ও এর বিচার অনস্বীকার্য। শুধু স্মৃতির উপর ভরসা করে থাকলেই চলবে না। কারণ, স্মৃতি দীর্ঘস্থায়ী হয় না; সময়ান্তরে বিকৃত হয়, হারিয়েও যায়। তাই কেবল মুক্তিযুদ্ধের বিজয় বা স্বাধীনতার আনন্দে গা ভাসিয়ে না দিয়ে, ইতিহাসের প্রতি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃতপ্রস্তাবে ইতিহাসের ভারসাম্য, নৃশংসতায় শিকারদের প্রতি সম্মান ও ভবিষ্যতে এরূপ অপরাধের পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধের লক্ষ্যে গণহত্যার স্বীকৃতি ও বিচারের কোনো বিকল্প নেই। বিচার নিশ্চিত না হলে এর ফলশ্রুতিতে সংখ্যালঘুর প্রতি অত্যাচারসহ নানামুখি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সৃষ্টির সুযোগ উন্মুক্ত থেকে যায়।
দুইশত বছরের উপনিবেশিকতা থেকে মুক্ত হওয়ার সাথে সাথে উত্তর-উপনিবেশিক পাকিস্তানের আসল চেহারা পরিস্ফুট হয়। পাকিস্তানীরা দেশ বিভাগের পর থেকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে বাঙালিদের স্বাধিকার বা স্বাধীনতার আন্দোলন দমন করতে সর্বোতভাবে সচেষ্ট ছিল। ১৯৪৭ এর দেশ বিভাগের ২৫ বছরের মধ্যে পাকিস্তান থেকে আরেকটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ সৃষ্টির পেছনে এই গণহত্যা গুরুতর ভূমিকা পালন করেছে। এটি একদিকে পাকিস্তানিদের নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের পরিচায়ক, অন্যদিকে বাঙালির সর্বাত্মক মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম কঠোর উদ্দীপক। তাই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে গণহত্যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এর স্বীকৃতি ও বিচারের ব্যাপারে উদাসীনতা বা অবহেলা গণহত্যার শিকার এবং ইতিহাসের প্রতি অসম্মান। এই উদাসীনতা বা ভুলে যাওয়া মানসিকতা বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম ও ইতিহাসের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।
ইতোমধ্যে গণহত্যার অর্ধশতাব্দী অতিক্রান্ত হয়েছে এবং বাংলাদেশও স্বাধীনতার অর্ধ শতকে পদার্পণ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অস্বীকৃত এবং স্থানীয় পরিসরে ‘ভুলতে যাওয়া’ গণহত্যার স্বীকৃতি ও বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ অতি আবশ্যক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত সরকার দ্রুত সম্ভাব্য সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এটাই এখন প্রত্যাশা।
লেখক : অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম।












