১৯৬ রান করেও ৭ উইকেটে হারল বাংলাদেশ

| সোমবার , ২ জুন, ২০২৫ at ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ

প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১৯৬ রান। পাকিস্তানের বিপক্ষে এত রান তারা আগে কখনও করেনি। তারপরও শেষ টিটোয়েন্টিতে ৭ উইকেটের জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করে ছাড়ল পাকিস্তান।

আগের দুই ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং করে ম্যাচ জিতেছিল পাকিস্তান। এবার টস জিতে আগে বোলিং নিয়ে অধিনায়ক সালমান আলি আগা বললেন, রান তাড়ার চ্যালেঞ্জ নিতে চান তারা। যেমন কথা তেমন কাজ। হারিসের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে যেন তুড়ি বাজিয়েই জিতে নিলেন তারা সেই চ্যালেঞ্জ। খবর বিডিনিউজের।

লাহোরে গতকাল রোববার পারভেজ হোসেন ইমনের ঝড়ো ফিফটির পথ ধরে ২০ ওভারে ১৯৬ রান তোলে বাংলাদেশ। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের ৩০ হাজার দর্শককে উল্লাসে ভাসিয়ে স্ট্রোকের জোয়ার বইয়ে দিয়ে পাকিস্তান জিতে যায় ১৬ বল বাকি রেখেই। ৮ চার ও ৭ ছক্কায় ৪৬ বলে ১০৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন হারিস। আন্তর্জাতিক টিটোয়েন্টিতে এই প্রথম পাকিস্তানের কোনো ব্যাটসম্যান শতরানের স্বাদ পেলেন ইনিংস ওপেন না করে।

পাকিস্তান বোলিং শুরু করে অনিয়মিত স্পিনার সাইম আইয়ুবকে দিয়ে। প্রথম বলে বাউন্ডারিতে ম্যাচ শুরু করেন তানজিদ হাসান। তবে প্রথম ২ ওভারে রান আসে ৮। এরপরই পারভেজের জ্বলে ওঠার শুরু। সাইমকে আরেক ওভার পেয়ে ফায়দা নেন তিনি দুটি ছক্কা একটি চার মেরে। এরপর ছুটতে থাকেন দারুণ সব শট খেলে। অন্য প্রান্তে তানজিদও একটু জেগে ওঠেন। পাওয়ার প্লেতে আসে ৫৩ রান। ২০২০ যুব বিশ্বকাপজয়ী বাংলাদেশের দুই ওপেনার এই প্রথমবার অর্ধশত রানের জুটি গড়লেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। পাওয়ার প্লে শেষেও পারভেজের ঝড় চলতে থাকে। গত ম্যাচে বাংলাদেশকে প্রবল ভোগানো আবরার আহমেদকে এবার পাত্তাই দেননি তিনি। এই লেগ স্পিনারের প্রথম ওভারে এক ছক্কার সঙ্গে তিনি মারেন দুটি চার। তানজিদের রান এক পর্যায়ে ছিল ১৯ বলে ১৮। পরে তার ব্যাট থেকে আসে দ্রুত তিনটি ছক্কা। ফাহিম আশরাফের বলে পারভেজের ছক্কা ও চারে জুটি পেরিয়ে যায় শতরান। ওই ওভারেই জুটি থামে ১১০ রানে। র‌্যাম্প শট খেলে শর্ট থার্ডম্যানে ক্যাচ দেন তানজিদ (৩২ বলে ৪২)। এই সংস্করণে বাংলাদেশের হয়ে এর চেয়ে বড় জুটি আছে আর একটিই। ২০২২৩ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে চট্টগ্রামে লিটন দাস ও রনি তালুকদারের ১২৪। সঙ্গীকে হারিয়ে পরের ওভারে শাদাব খানকে উইকেট দিয়ে ফেরেন পারভেজও। বাংলাদেশের ইনিংস তখন শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে। পরে লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয় রান পেলেও পরিস্থিতির দাবি খুব ভালো মেটাতে পারেননি। শাদাবকে একটি ছক্কা মারলেও লিটন ১৮ বল খেলে করতে পারেন কেবল ২২ রান। শাদাবকে চার ও আবরারকে ছক্কায় হৃদয় শুরুটা দারুণ করলেও পরে একটু আটকে গিয়ে আউট হন ১৮ বলে ২৫ করে। এই দুই উইকেটের মাঝে দুটি চার মেরে বিদায় নেন শামীম হোসেন। ছাপ রাখতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। পরে জাকের আলির ৯ বলে ১৫ ও শেষ ওভারে তানজিম হাসানের ছক্কায় দুইশর কাছে যেতে পারে দল। তখনই বোঝা যাচ্ছিল, রান অন্তত ১০১৫ কম হয়েছে। তবে হারিসরা যেভাবে ব্যাট করেছেন, তাতে ২২০ রানও হয়তো যথেষ্ট হতো না!

পূর্ববর্তী নিবন্ধটানা বৃষ্টিতে ক্রেতাশূন্য পশুর হাট, বেপারিরা দুশ্চিন্তায়
পরবর্তী নিবন্ধহাটহাজারীতে রেল লাইনে ঝুঁকিপূর্ণ পশুর হাট