এএফসির সভা শেষে মালয়েশিয়া থেকে ঢাকায় ফিরে শুক্রবার রাতে বিদ্রোহী ১৮ জন নারী ফুটবলারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল। তবে বাফুফে ভবনের সেই সভায় পরিস্থিতি সেভাবে আয়ত্তে আনতে পারেননি। মেয়েরা কেউই তার অনুরোধে গতকাল শনিবার পিটার বাটলারের অধীনে অনুশীলনে ফেরেননি। এমন পরিস্থিতিতে বাফুফে আসলে কী করতে যাচ্ছে! এ নিয়ে তাবিথ সরাসরি পরিস্কার করে কিছু বলতে চাননি। তবে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিজের মতো করে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে সাবিনাসহ ১৮ জন খেলোয়াড়ের সঙ্গে আলোচনায় বসে তাদেরকে অনুশীলনে ফেরার অনুরোধ জানিয়ে রাখেন সভাপতি। তবে মেয়েরা আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেননি। বরং তারা সভাপতিকে যা বলেছেন, তা নিয়ে নানান ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। মেয়েদের কেউই এনিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না। তাদের বক্তব্য হলো– ‘যা বলার সভাপতিকে বলেছি। উনি এখন যা করার করবেন।’ তাবিথ বিদ্রোহী ফুটবলারদের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কী ভাবছেন তা জানতে চাইলে শুরুতে বলেছেন, ‘আমি স্পষ্ট করতে চাই যে চ্যালেঞ্জটি ১৮জন নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের সঙ্গে সম্পর্কিত, পাশাপাশি এটি বাংলাদেশের নারী ফুটবলের একটি সামগ্রিক বিষয়। বাংলাদেশের নারী ফুটবল এগিয়ে যাচ্ছে এবং আমরা এর উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ বৃহস্পতিবার রাতে বিদ্রোহী ফুটবলারদের সঙ্গে অনেক আলোচনা হলেও সভাপতি নিজের জবানিতে কিছু বলতে চাইছেন না,‘আমি ব্যক্তিগতভাবে ১৮ জন খেলোয়াড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি, ঠিক বিশেষ কমিটির রিপোর্ট এবং টেকনিক্যাল রিপোর্ট পাওয়ার পরই। তবে ব্যক্তিগত আলাপের বিষয়বস্তু প্রকাশ করতে চাই না।’ ইমরুল হাসানের নেতৃত্বে বিশেষ কমিটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সেই রিপোর্ট মূল্যায়নের ইঙ্গিত দিয়েছেন তাবিথ, ‘কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা ১৮ জন খেলোয়াড়ের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে যোগাযোগ করবো এবং প্রতিটি বিষয় পৃথকভাবে মূল্যায়ন করে সমাধানের চেষ্টা করবো।’