বহুমুখী সমস্যার মধ্যে সময় পার করছে রাউজানের প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ। এই উপজেলার ১৮১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৮১টিতে নেই প্রধান শিক্ষক। সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদ প্রায় অর্ধশত। চলতি অর্থবছরে আরো অনেক শিক্ষক অবসরে যাচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে। শিক্ষক সংকটের মত কর্মকর্তা কর্মচারীর সংকট রয়েছে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়েও। এখানে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার (এটিও) আটটি পদের মধ্যে আছেন মাত্র তিনজন। পাঁচজন কর্মচারীর মধ্যে আছেন দুই জন। শিক্ষা কর্মকর্তা নরুন্নবীর সাথে এ প্রসঙ্গে কথা বললে শিক্ষক ও তার অফিসের জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, এটিও, কর্মচারীর পদ শূন্য ছাড়াও তার কার্যালয়ে পদায়ন করা অফিস সহকারী অঞ্জন বিশ্বাস রাউজান থেকে বেতন ভাতা উত্তোলন করে আসলেও তিনি চাকরি করছেন কঙবাজার জেলায়। একইভাবে এই কার্যালয়ে পদায়ন করা হিসাব সহকারী শাহিদা আকতার কাজ করছেন নগরীর ডাবলমুরিং থানা এলাকায়। যদিও তারা বেতন ভাতা তুলেন রাউজান থেকে। চলতি অর্থবছরে আরো কিছু শিক্ষক অবসরে যাবেন বলে জানিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা নরুন্নবী বলেন, এমন পরিস্থিতিতে অতি দ্রুত শূন্য পদে শিক্ষক, কর্মকর্তা নিয়োগ না দিলে সংকট আরো বাড়তে পারে। খবর নিয়ে জানা যায়, এমন সমস্যার মধ্যে শহরে বসবাসকারী অনেক শিক্ষককে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে বিলম্ব হয়। বিদ্যালয়সমূহে শিক্ষকদের আসা যাওয়ার নিয়ম না মানার বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, শিক্ষকতায় থাকা বেশিরভাগ শিক্ষক শহরের বাসা বাড়িতে থাকেন। বিভিন্ন সময় রাস্তায় যানজটে পড়তে হয়। তবে সকলকে সতর্ক করা হয়েছে যাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিদ্যালয়ে পৌঁছে পাঠদানে অংশ নেন। উপজেলার আটটি বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও তার পিতা–মাতার নামে নামকরণ করা সাতটিসহ আটটি বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত পেলে কার্যকর হবে।