নগরীর অভিজাত রেস্টুরেন্ট অ্যামব্রোশিয়ার বিরুদ্ধে ১৭ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। প্রকৃত বিক্রয় তথ্য গোপন করে এই ভ্যাট ফাঁকি দেয়া হয়েছে বলে গতকাল দায়েরকৃত মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্যাট গোয়েন্দার দল গত ৭ সেপ্টেম্বর রেস্টুরেন্টটিতে আকস্মিক পরিদর্শন করেন। এসময় তারা বিভিন্ন নথিপত্র জব্দ করে, যাতে দেখা যায় মাসিক রিটার্নে তাদের প্রদর্শিত বিক্রয়ের সাথে ব্যাপক গরমিল রয়েছে। রেস্টুরেন্টটি ১০৫৩ শেখ মুজিব রোড, জীবন বীমা ভবন আগ্রাবাদে অবস্থিত। যার বিআইএন: ০০০১৪৫৪১১-০৫০৩। জানা গেছে, ভ্যাট গোয়েন্দা সংস্থার উপপরিচালক তানভীর আহমেদের নেতৃত্বে গত ৭ সেপ্টেম্বর হোটেলটিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে কাগজপত্র জব্দ করে দেখা যায়- মাসিক রিটার্নে তাদের প্রদর্শিত বিক্রয়ের সঙ্গে ব্যাপক গরমিল রয়েছে। অনুসন্ধান অনুসারে- জুলাই-২০১৮ থেকে জুলাই-২০২০ সময় পর্যন্ত রেস্টুরেন্টের প্রকৃত মোট বিক্রির পরিমাণ ৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। এই মূল্যের উপর ভ্যাট আরোপযোগ্য হয় ৫৫ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। কিন্তু অ্যামব্রোশিয়া কর্তৃপক্ষ ওই একই সময়ে মাসিক রিটার্নের মাধ্যমে ভ্যাট দিয়েছে মাত্র ৪১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। পরিহারকৃত ভ্যাটের পরিমাণ ১৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। সময়মতো ভ্যাট পরিশোধ না করায় ভ্যাট আইন অনুসারে আরো ২ শতাংশ হারে সুদ প্রযোজ্য হয়। সবমিলিয়ে ফাঁকির পরিমাণ দাঁড়ায় ১৭ লাখ ২৪ হাজার টাকা।
উল্লেখ্য, করোনাকালীন চলতি বছরের মার্চ-জুন এই চার মাস রেস্টুরেন্টটি বন্ধ ছিল এবং তাদের জিরো রিটার্ন বিবেচনায় আনা হয়েছে। ভ্যাট গোয়েন্দা দল উদ্ঘাটিত এই ভ্যাট ফাঁকি করোনার আগের।
