নগরীর পতেঙ্গায় সতেরো বছর আগে বাসের ভেতর জোরপূর্বক এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই আসামিকে যাবজ্জীবন সাজা ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ অর্থদণ্ড অনাদায়ে আসামিদের আরও ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। একই মামলায় আদালত দুই আসামিকে খালাস দিয়েছেন। গতকাল নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-৭’র বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মুনসী আব্দুল মজিদ দুই আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দিয়েছেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন আলিম উদ্দিন কোম্পানী ও হারুন ড্রাইভার। খালাস পেয়েছেন জসিম উদ্দিন ও আমিন ড্রাইভার নামে দু’জন। ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার আরিফুল আলম আজাদীকে বলেন, এ মামলার এজাহারনামী ৪ আসামির মধ্যে তিনজনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু তিনজনের মধ্যে পলাতক এক আসামি জসিমের সঠিক ঠিকানা না পাওয়ায় তাকে সাজা প্রদান থেকে বিরত রেখে খালাস দেয়া হয়েছে। বাকী দু’জনের প্রত্যেককেই যাবজ্জীবন সাজা ও এক লক্ষ টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় এজাহারনামীয় বাকী আরও এক আসামির বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
গত ২০০৩ সালে ৩ অক্টোবর কাটগড়ে বাসের ভেতর গণধর্ষণের শিকার হন এক নারী। জামালপুর এলাকার বাসিন্দা ওই নারী পতেঙ্গা থাকতেন। এ ধর্ষণের ঘটনায় ওই নারী নিজে বাদী হয়ে পরদিন পতেঙ্গা থানায় চারজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০’র ৯ (৩) / ৩০ ধারায় অভিযোগ আনেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান পতেঙ্গা থানার তৎকালীন উপ পরিদর্শক এস আই সিরাজুল ইসলাম।