আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিপেটায় আহত গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি নুরুল হক নুর ১৭ দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছেড়েছেন। গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় হাসপাতাল ছাড়েন বলে নুরের ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। খবর বিডিনিউজের। নুরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেননি। এজন্য তার কয়েক মাস সময় লেগে যেতে পারে। এ অবস্থায় আজ মঙ্গলবার অন্য কোনো হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা বলা হয়েছে তার ফেসবুক পেজে। সেখানে বলা হয়, ডাক্তারদের ভাষ্যমতে যেভাবে তিনি (নুর) মাথা ও মুখ–মণ্ডলে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন, তাতে পুরোপুরি সুস্থ হতে কয়েক মাস সময় লাগবে। বর্তমানে তার ‘ন্যাজাল বোন ফ্র্যাকচার’ হয়ে ‘ডিসপ্লেস’ অবস্থায় আছে, যা অপারেশনের মাধ্যমে পজিশনে আনতে হবে। এ বিষয়ে চিকিৎসক ২/৩ সপ্তাহ পরে অপারেশনের মত দিয়েছেন। একইসঙ্গে তার ডান পাশের ‘ম্যাঙিলা ফ্রাকচার’ ও ‘নার্ভ কমপ্রেসড’ হয়ে থাকায় ডান চোখের নিচ থেকে নাকের ডান পাশ ও ঠোট পর্যন্ত আংশিক অবশ রয়েছে। সেখানেও অপারেশন করে ‘নার্ভ’ ঠিক করা দরকার। তাছাড়া ‘ব্লান্ট ট্রমায়’ লিভারসহ আরও কিছু শারীরিক জটিলতা রয়েছে। এই অবস্থায় আপাতত ডিএমসি থেকে ছুটি নিয়েছেন। রাতে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে সকালে অন্য কোনো হাপাতালে ভর্তি হবেন।
গত ২৯ অগাস্ট সন্ধ্যায় কাকরাইলে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে গণঅধিকারের নেতাকর্মীরা বঙকালভার্ট সড়কে তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। সেখানে নুর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সময় সেনা ও পুলিশ সদস্যরা নুর ও তার সহকর্মীদের লাঠিপেটা শুরু করে। হামলায় নুরসহ অন্তত ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হন বলে গণঅধিকার পরিষদের দাবি। লাঠিপেটায় আহত নুরুকে প্রথমে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখানে তাকে দেখতে যান বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।