রাঙ্গুনিয়ায় প্রথমবারের মতো গ্রীষ্মকালীন তরমুজের আবাদ হয়েছে। উপজেলার উত্তর পোমরা গ্রামের হাজারিখীল গ্রামে আট শতক জমিতে এই তরমুজের আবাদ হয়। ইতোমধ্যে ফলন এসেছে গাছে। এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার টাকা খরচ হলেও সব ঠিকঠাক থাকলে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা আয় হবে বলে জানান চাষি সাইফুল ইসলাম।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাচায় তরমুজ চাষে সফলতা পেয়েছে মো. সাইফুল ইসলাম। প্রথমবারেই ভাল ফলন এসেছে, এতে সফলতা এসেছে বলে মনে করেন তিনি। ইতোমধ্যে অনেকে অগ্রীম অর্ডার দিয়ে রেখেছেন। বাজারে ভালো চাহিদা, দাম থাকায় এবং রং, স্বাদ আকর্ষণীয় ও লাভজনক হওয়ায় এ জাতের তরমুজ দেখতে ক্ষেতে ভিড় করছেন অনেকে।
কৃষক সাইফুল ইসলাম জানান, এ পর্যন্ত আট শতক জমিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে তার পারিশ্রমিক ব্যতীত পনেরো হাজার টাকার মত খরচ হয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে আট শতক জমি থেকে তিনি দেড় থেকে দুই লাখ টাকা আয় করার সম্ভাবনা আছে। প্রথমে দিকে বেশিরভাগ মানুষ তাকে নিরুৎসাহিত করেছিলেন। কিন্তু তিনি নাছোড়বান্দা ছিলেন। লাভ কিংবা ক্ষতি যাই হোক তরমুজ চাষ তিনি করেই ছাড়বেন। এই প্রতিজ্ঞা থেকে চাষ করে সফলতা পেয়েছেন বলে তিনি জানান।
তিনি আরও জানান, উপজেলায় কর্মরত উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমার শীলের পরামর্শে এবং সহায়তায় তিনি এই চাষে আগ্রহী হয়েছেন। বীজও সংগ্রহ করেছেন তার থেকে। রোপণ থেলে ফলন আসা পর্যন্ত সার্বক্ষণিক পাশে রয়েছেন। এখন আশেপাশের কৃষকরাও এই আবাদে আগ্রহী হয়েছেন এবং তার কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন বলে জানান।
তিনি অন্যান্যদের পরামর্শ দেন, গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে আকর্ষণীয় এ জাতের তরমুজ চাষ করে ব্যাপক লাভবান হওয়া যায়। যে কেউ তরমুজ চাষে স্থানীয়ভাবে নারী–পুরুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে।
এ বিষয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমার শীল বলেন, সাইফুল একজন উদীয়মান যুবক। তবে উনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। আমার সাথে যোগাযোগ করলে আমি তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি এবং মনে করছি তিনি একজন সফল চাষি। এলাকায় উনার সফলতা দেখে অনেকেই গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষাবাদ করার আগ্রহ প্রকাশ করছেন।