ডাকাতি এবং ছুরিকাঘাতে আহত হওয়ার পর লীলাবতি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে নিরাপদে বান্দ্রার বাসায় ফিরেছেন অভিনেতা সাইফ আলী খান। একদিকে অভিনেতার পরিবার তার ফেরাকে উদ্যাপন করছে; অন্যদিকে একটি খবর রয়েছে, যা তাদের এ উদযাপনে ভাটা ফেলতে পারে। পতৌদি পরিবারের ১৫ হাজার কোটি রুপির ঐতিহাসিক সম্পত্তির ওপর দেশটির মধ্য প্রদেশের উচ্চ আদালত কর্তৃক দেওয়া স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হয়েছে। আদালতের এমন সিদ্ধান্তের ফলে, ১৯৬৮ সালের ‘শত্রু সম্পত্তি আইনে’র অধীনে সাইফের পরিবার এসব সম্পত্তি হারাতে পারে। খবর বিডিনিউজের।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, এসব সম্পত্তির মধ্যে সাইফের শৈশব কাটানো ‘ফ্ল্যাগ স্টাফ হাউজ’, ‘নূর–উস–সাবাহ প্যালেস’, ‘দার–উস–সালাম’ এবং অন্যান্য সম্পত্তি রয়েছে।
বিচারপতি বিবেক আগারওয়াল ‘শত্রু সম্পত্তি আইন–২০১৭’ এর সংশোধিত ধারার বিষয়টি তুলে ধরে এর বিধিবদ্ধ প্রতিকারের বিষয়ে বলেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, রায়ের বিপক্ষে সংক্ষুব্ধ পক্ষ ৩০ দিনের মধ্যে তাদের পক্ষাবলম্বন করতে পারবেন। শত্রু সম্পত্তি আইন অনুযায়ী, দেশভাগের পর পাকিস্তান চলে যাওয়া ব্যক্তিদের সম্পত্তি দখলের অনুমতি পায় কেন্দ্রীয় সরকার।
ভোপালের শেষ নবাব হামিদুল্লাহ খানের তিন কন্যা ছিলেন। তার ছোট মেয়ে আবিদা সুলতানা ১৯৫০ সালে পাকিস্তান চলে যান। এর মধ্যে তার দ্বিতীয় মেয়ে সাজিদা সুলতানা ভারতে থাকার কারণে সম্পত্তির মালিক হন এবং নবাব ইফতিখার আলী খান পতৌদিকে বিয়ে করেন। সাইফ আলী খান সাজিদা সুলতানার নাতি হিসেবে উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তির একটি অংশের মালিক। তবে সরকার আবিদা সুলতানার পাকিস্তান চলে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে মামলা করেছে এবং এ সম্পত্তিকে ‘শত্রু সম্পত্তি’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। গেল ২০১৯ সালে আদালত সাজিদা সুলতানাকে সম্পত্তির উত্তরাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। তবে নতুন এ আদেশের ফলে আবারও নতুন করে সম্পত্তিগুলো বিরোধপূর্ণ অবস্থায় পড়ল।