১৫২ কিলোমিটার গতিতে বল করে নাহিদের রেকর্ড

স্পোর্টস ডেস্ক | মঙ্গলবার , ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ৭:০৭ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্রুতগতির বল করে নতুন রেকর্ড করেছেন পেসার নাহিদ রানা। বর্তমানে বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং ইউনিটটি বেশ শক্তিশালী। একটা সময় ছিল বাংলাদেশকে নির্ভর করতে হতো স্পিন বোলিং এর উপর। তবে সে ধারায় এখন পরিবর্তণ এসেছে। এখন বাংলাদেশ তিন কিংবা চারটি পেস বোলার নিয়ে খেলতে নামে। যেখানে আগে একজন পেস বোলার নিয়ে খেলতে নামতো। এমনকি অনেক সময় পেস বোলার ছাড়াই খেলতে নামতো বাংলাদেশ। আর এখন বাংলাদেশ দলে অনেক পেস বোলার। আর সে পেস বোলাররা খেলছেও দারুণ। দুর্দান্ত পারফর্ম করছে বাংলাদেশের পেস বোলাররা। গতকাল যেমন পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে ১০টি উইকেটই নিয়েছেন পেসাররা। যেখানে হাসান মাহমুদ নিয়েছেন ৫টি আর নাহিদ রানা নিয়েছেন ৪টি উইকেট। একটি উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। আর গতকাল বল হাতে নতুন এক রেকর্ড গড়েছেন তরুণ পেসার নাহিদ রানা। পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘণ্টায় ১৫২ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করেছেন ডানহাতি এই পেসার। যা বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বল করার রেকর্ড। নাহিদ রানার আগে ১৫০ কিলোমিটারের কোটা ছুঁতে পারেননি কোনো বাংলাদেশি বোলার। সর্বোচ্চ ১৪৯.৫ কিলোমিটার গতিতে বল করার রেকর্ড করেছিলেন রুবেল হোসেন। গতকাল সোমবার রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের চতুর্থ দিনে এই রেকর্ড করেন নাহিদ রানা। এদিন বল হাতে ৪ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। শান মাসুদ, বাবর আজম, সউদ শাকিল ও আবরার আহমেদের মত সেরা ব্যাটসম্যানের উইকেট তুলে নেন রানা। দ্রুতগতিতে বোলিং করা এই পেসার দিনেদিনে পরিচিত হয়ে উঠছেন ‘চাপাইনবাবগঞ্জ এক্সপ্রেস’ নামে। রাওয়ালাপিন্ডি টেস্টে তিনজন পেসার খেলেছে বাংলাদেশ দলের হয়ে। ছিলেন দুজন স্পিনার। তারা হলেন সাকিব আল হাসান আর মেহেদী হাসান মিরাজ। অথচ এই দুজনকে উইকেটের ধারে কাছেও যেতে দেয়নি পেসাররা। দশটি উইকেটই ভাগাভাগি করে দিয়েছেন দিন পেসার। অথচ প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে পেসাররা সব শেষ করে দিল। বাংলাদেশ দলে এখণ পাঁচজন পেসার রয়েছে। যে তিনজন খেলেছেন সে তিনজন ছাড়াও রয়েছেন শরীফুল ইসলাম এবং খালেদ আহমেদ। এছাড়া জাতীয় দলের বাইরেও রয়েছে একাধিক পেসার। যাদের মধ্যে সম্প্রতি এইচপি দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়া সফর করে আসা রিপন মন্ডল। যে দলটি এক সময় কেবলই স্পিনারদের উপর ভর করে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা করতো সে বাংলাদেশ এখন পেস বোলিং দিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে। যার সেরা প্রমান পাকিস্তানের বিপক্ষে এই সিরিজ। বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ থাকাকালে দক্ষিন আফ্রিকান লিজেন্ড অ্যালান ডোনাল্ড এই পেসারদের গড়ে তোলেন। আর সে পেসাররাই এখন বাংলাদেশ দলকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। যেখানে সবশেষ সংযোজন নাহিদ রানার ১৫২ কিলোমিটার গতিতে বল করা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভুটানে উচ্চতাকে বড় সমস্যা মনে করছে বাংলাদেশ দল
পরবর্তী নিবন্ধনারী জাতীয় ক্রিকেট লিগে রানার্স আপ চট্টগ্রাম বিভাগ