প্রায় ১৪ মাস পর মুক্ত হলো চট্টগ্রামের ইনডোর গেমসের একমাত্র স্থান জিমনেসিয়াম। ২০২৩ সালের শুরুর দিকে চট্টগ্রাম ৮ আসনের উপনির্বাচনের জন্য আনা ইভিএম মেশিনগুলো রাখা হয়েছিল জিমনেসিয়ামে। নির্বাচন সম্পন্ন হলেও সে মেশিনগুলো পড়ে ছিল জিমনেসিয়ামে। ফলে ব্যাহত হচ্ছিল চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার ইনডোর গেমসগুলো। জেলা ক্রীড়া সংস্থা নানা সময় চেষ্টা করে জিমনেসিয়ামটি মুক্ত করার। কিন্তু সফল হয়নি। অবশেষে জেরা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে আবার চেষ্টা চালান সংস্থার সহসভাপতি এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল এবং সিজেকেএস ব্যাডমিন্টন কমিটির বর্তমান চেয়ারম্যান দিদারুল আলম। তাদের প্রচেষ্টায় কয়েক দফায় ইভিএম মেশিনগুলো সরিয়ে নেওয়া হয় জিমনেসিয়াম থেকে। এই মেশিনগুলো রাষ্ট্রীয় সম্পদ হওয়ায় এর দায় দায়িত্ব নেওয়াটাও ছিল কঠিন এবং ঝুঁকিপূর্ণ। অবশেষে এই দুজনের প্রচেষ্টায় শেষ পর্যন্ত মুক্ত হলো জিমনেসিয়াম। গতকাল দুপুরে সবশেষ দফায় বাকি মেশিনগুলো নিয়ে যায় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। আর এই কাজে সবচাইতে বেশি সহায়তা করেছেন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ইউনুচ আলি। দীর্ঘ ১৪ মাস পর সিজেকেএস জিমনেসিয়াম মুক্ত হলেও আপাতত এখন খেলাধুলা করা সম্ভব হবে না এই জিমনেসিয়ামে। কারণ সেখানে আগামী কয়দিন চলবে সরকারের ভূমি মেলা। ফলে খেলাধুলার জণ্য আরো কিছুদিন অপেক্ষায় থাকতে হবে ক্রীড়াবিদদের। তারপরও জিমনেসিয়াম আবার ফিরে পাচ্ছে সে খবরে দারুণ স্বস্তি ক্রীড়াবিদদের মাঝে। যেহেতু ভূমি মেলাটি একটি রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি সেহেতু আপাতত আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে ক্রীড়াবিদদের জিমসেনিয়াম ব্যবহার করার জন্য।