১৪ ট্রাকে গেল জব্দ ইলিশ

নিষিদ্ধ সময়ে আহরণ ও মজুদ, হালিশহরে আটক ১ পৃথক অভিযানে আটটি বোট ও দেড় হাজার কেজি জব্দ

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২৫ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:০৪ পূর্বাহ্ণ

সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ সময়ে মা ইলিশ আহরণ ও মজুদের অভিযোগে গত শনিবার নগরীর হালিশহর থেকে ১১ হাজার ৫৭৮ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করেছে র‌্যাব। এর মূল্য প্রায় ৯২ লাখ টাকা। পরে ১৪টি ট্রাকে করে জব্দ করা মাছগুলো নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সিন্ডিকেটের একজনকে আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তির নাম মো. সাইফুল ইসলাম (৫২)। তিনি উত্তর হালিশহরের মৃত মো. ইদ্রিসের পুত্র।
র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আজাদীকে বলেন, ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মা ইলিশ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে সব ধরনের ইলিশ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন সরকারি প্রজ্ঞাপন দ্বারা নিষিদ্ধ করা হয়। প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকেই ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে ও ডিম ছাড়ার সুযোগ করে দিতে মা ইলিশ রক্ষায় র‌্যাব-৭ এ বিষয়ে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি চালায়। গোয়েন্দা নজরদারির এক পর্যায়ে র‌্যাব-৭ জানতে পারে, কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকেই অধিক মূল্যে ইলিশ মাছ বিক্রি করে লাভবান হওয়ার আশায় নগরীর হালিশহর থানাধীন ফুল চৌধুরী পাড়ায় একটি ভাড়া বাড়িতে ইলিশ মাছ আহরণ ও মজুদ করে আসছে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত শনিবার রাতে র‌্যাব-৭ এর একটি টিম ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. সাইফুল ইসলামকে আটক করে। পরে তার দেখানো ও তথ্য মতে একটি নির্মাণাধীন ভাড়া ঘর থেকে ১১ হাজার ৫৭৮ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়। ১৪টি ট্রাকে করে মাছগুলো নিয়ে আসা হয়।
এদিকে অপর এক অভিযানে নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড ও বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তর সমন্বিতভাবে অভিযান চালিয়ে ইলিশ মাছ আহরণকালে আটটি বোট, দেড় হাজার কেজি ইলিশ, পনের হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ২০টি টং জাল জব্দ করে।
জানা গেছে, ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ অ্যাক্ট, ১৯৫০-এর অধীন প্রণীত প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ রুলস, ১৯৮৫ অনুযায়ী প্রতি বছর আশ্বিনের পূর্ণিমার (অক্টোবর মাস) আগে ও পরে মোট ২২ দিন দেশের নদী ও সাগরে মাছ ধরা বন্ধ রাখা হয়। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য বলছে, দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের প্রায় ১২ শতাংশ আসে ইলিশ থেকে। সরকারি হিসেবে দেশের সামষ্টিক অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপির এক শতাংশ অর্থাৎ ২৫ হাজার কোটি টাকা আসে ইলিশ থেকে, যা প্রতি বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনিরাপদ সড়কের জন্য চাই সচেতন ড্রাইভার
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে ৯৯১ নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত ৪ জন