চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পোষ্য কোটা বাতিল ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে জড়িত হত্যাকারীদের বিচারের দাবিসহ ৯ দফা দাবিতে ১৪ ঘণ্টা পর অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেছে ছয় শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুরোধে গত বুধবার রাত ২টার দিকে কর্মসূচি স্থগিত করেন তারা। এর আগে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে দাবি আদায়ে আমরণ অনশনে বসেন তারা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুরোধে আগামী রোববার পর্যন্ত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সময় চাইলে শিক্ষার্থীরা তাতে রাজি হন।
অপরদিকে পোষ্য কোটা বাতিল না করে বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা–কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করে এ আহ্বান জানান তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কোটায় পাস মার্ক ৩৫ থেকে ৪০ নম্বর করায় আমরা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই। মেধা ও প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তারা ভর্তি হয়। কিন্তু ফেসবুকে তাদের নামে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করছে অনেকে। প্রশাসনকে বেকায়দায় এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য ছাত্রদের একটি অংশ গভীর ষড়যন্ত্র করছে। পোষ্য কোটা এটা আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক অধিকার। এটা বাতিল তো নয়, বরং আরও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এ কোটা বাতিল হলে অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে না। তারা বলেন, ওয়ার্ড কোটা এটা সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। এ কোটা সাধারণ তালিকার বাইরে সম্পূর্ণ আলাদা। ফলে সাধারণ তালিকায় যারা আসে তাদের কোনো ক্ষতি হয় না।