১২ হাজার মামলার জট

নগরীর তিন যুগ্ম আদালতে নেই বিচারক

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১২ মার্চ, ২০২৩ at ৬:২২ পূর্বাহ্ণ

শুধু তারিখ পড়ে, কিন্তু মামলার শুনানি হয় না। দীর্ঘদিন ধরে বিচারক না থাকায় চট্টগ্রাম মহানগরীর তিনটি যুগ্ম আদালতের অবস্থা এমন। নিজেদের মামলার বিচারকাজে ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে। তাই মহানগরীর অন্য আদালতগুলোর বিচারকরা এই তিন আদালতের দায়িত্ব নিতে পারছেন না। ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বিচারপ্রার্থীরা। বাড়ছে মামলার জট। গুরুত্বপূর্ণ তিন আদালতে বিচারক সংকটের ঘটনায় উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মীরা।

আদালত সূত্র জানায়, বিচারক সংকটে থাকা মহানগরীর তিন যুগ্ম আদালতে বর্তমানে ১২ হাজার মামলা ঝুলছে। এর মধ্যে এনআই অ্যাক্টের মামলাই বেশি। রয়েছে মাদক মামলাও। মানবাধিবার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের (বিএইচআরএফ) মতে, এই তিন আদালতে বিচারক না থাকায় সুবিধা পাচ্ছে ঋণখেলাপীরা।

আদালত সূত্র জানায়, বিচারক সংকটে থাকা তিন যুগ্ম আদালত হচ্ছে ১ম, ৩য় ও ৭ম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত। এর মধ্যে ১ম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক নূরে আলম ভূঁইয়া গত বছরের অক্টোবর মাসে পদোন্নতি পেয়ে অন্যত্র চলে যান। তখন থেকে আজ পর্যন্ত আদালতটি বিচারকশূন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ৩য় মহানগর যুগ্ম দায়রা জজ আদালতের বিচারক কাজী মিজানুর রহমান গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে প্রমোশন পেয়ে অন্যত্র বদলি হন। সেই থেকে এই আদালতে বিচারক নেই। একইভাবে ৭ম মহানগর যুগ্ম দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম গত বছর নভেম্বর মাস থেকে ৬ষ্ঠ যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি হন। আজ পর্যন্ত বিচারক নিয়োগ হয়নি এই আদালতেও।

মানবাধিকার আইনজীবী জিয়া হাবীব আহসান বলেন, বিচারক সংকটের কারণে বিচার প্রার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এই তিন আদালতে দ্রুত বিচারক নিয়োগ দেওয়া হোক। অন্যথায় সংকট বাড়বে। তিনি বলেন, এই তিন আদালতে এন আই অ্যাক্টের প্রচুর মামলা রয়েছে। বিচারক সংকট থাকায় এসব মামলার আসামিরা সুবিধা পাচ্ছেন।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আদালতে বিচারক সংকট মানেই হচ্ছে বিচারপ্রার্থীদের ক্ষতি। মহানগরীর তিন যুগ্ম আদালতে বিচারক না থাকায় কঠিন সময় পার করছে বিচারপ্রার্থীরা। অন্য আদালতের বিচারকরা নিজেদের মামলার বিচার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এজন্য তারাও এই তিন আদালতে সময় দিতে পারছেন না। দ্রুত নতুন বিচারক নিয়োগ হলে দুর্ভোগ কেটে যাবে। সমিতির পক্ষ থেকে সম্প্রতি মন্ত্রণালয়কে বিচারক সংকটের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত বিচারক পাবে এই তিন আদালত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধছাদে ট্যাংকের পানি দেখতে গিয়ে পড়ে মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধআস্থা আছে বলেই ইসি ইভিএমের পক্ষে