লামা ও আলীকদমের ১২টি ইট ভাটা বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ সময় ইট ভাটাগুলোকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিটের আদেশ মূলে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বান্দরবান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কায়েসুর রহমান ও মো. মামুনুর রশিদের নেতৃত্বে লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের ১১টি ও আলীকদমের ১টি ইটভাটায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে সহযোগিতা করেন বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আশফাকুর রহমান, লামা থানা উপ-পরিদর্শক শাহীন পারভেজসহ সঙ্গীয় ফোর্স ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন। সূত্র জানায়, অভিযানকালে লামার ফাইতং ইউনিয়নের ফরিদুল আলমের মালিকানাধীন এফএসি ইট ভাটাকে ২ লাখ টাকা, মো. ইউনুসের মালিকানাধীন এসবিডাব্লিউ ইট ভাটাকে ২ লাখ টাকা, মোকতার আহমেদের মালিকানাধীন এমএসবি ইট ভাটাকে ২ লাখ টাকাসহ আরো ৮টি ইটভাটাকে ১ লাখ টাকা করে মোট ১৪ লাখ টাকা এবং আলীকদম উপজেলার পূর্বপালং পাড়ার এফবিএম নামের একটি ইটভাটাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেন। তাছাড়াও এই ইটভাটা গুলোর বিভিন্ন অংশে আংশিকভাবে ভেঙ্গে দেওয়ার পাশাপাশি কাঁচা ইট নষ্ট এবং ইটভাটাগুলো বন্ধ ঘোষনা করে নোটিশ টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়।
বান্দরবান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কায়েসুর রহমান অভিযান পরিচালনা শেষে সাংবাদিকদের জানান, উল্লেখিত ইটভাটাগুলো বন্ধে হাইকোর্টের রিটের আদেশ ছাড়াও জেলা প্রশাসন ও পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। তাছাড়া নিষিদ্ধ এলাকা ও পাহাড়ের পাদদেশে এমনকি আবাসিক এলাকায় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন স্থানে পরিচালিত হচ্ছিল। তারা ইটাভাটার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে পাহাড়ি কাঠ। তাই ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনের ধারা লঙ্ঘনের কারণে অবৈধ ইটভাটা গুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।