বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস আজ। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য-‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উপাত্ত ব্যবহার করি, সাম্যের ভিত্তিতে সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি’। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামসহ সারা দেশে পালিত হবে দিবসটি। ১৯৯০ সালের ১১ জুলাই প্রথম বারের মতো ৯০টি দেশে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উদযাপিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। এদিকে গত ১১ বছরে চট্টগ্রাম জেলায় জনসংখ্যা বেড়েছে ১৫ লাখ ৫৩ হাজার। জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী, চট্টগ্রামের মোট জনসংখ্যা ৯১ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৫ জন। যা ২০১১ সালে ছিল চট্টগ্রামের জনসংখ্যা ছিল ৭৬ লাখ ১৬ হাজার জন।
জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেন, জনসংখ্যা রাষ্ট্রের অন্যতম মূল উপাদান। টেকসই উন্নয়নে পরিকল্পিত ও দক্ষ জনসংখ্যার গুরুত্ব অপরিসীম। জনসংখ্যাকে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় রেখে বিদ্যমান সম্পদের পরিবেশবান্ধব ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে হবে।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে সরকার অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, এসডিজি–২০৩০ এবং রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের এসকল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং পরিকল্পিত ও পরিমিত জনসংখ্যা নিশ্চিত করতে যথাযথ নীতি ও কর্মকৌশল নির্ধারণে নির্ভরযোগ্য এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক তথ্য–উপাত্তের বিকল্প নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ১১ জুলাই ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস–২০২৪’ উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উপাত্ত ব্যবহার করি, সাম্যের ভিত্তিতে সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি’ যা অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।