চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহীদের কাছ থেকে বায়োডাটা আহ্বান করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত ১১ দিনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুই পদে বায়োডাটা জমা দিয়েছেন ১৩২৫ জন পদ প্রত্যাশী। গতকাল শেষ দিনে পদ প্রত্যাশীদের ভিড় থাকায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আরো দুদিন সময় বাড়িয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করেছেন। এই দুইদিনে মিলে পদ প্রত্যাশীর সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জানান কেন্দ্রীয় নেতারা।
চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম মনোনয়নপত্র জমাদানের পর আজাদীকে জানান, তার বায়োডাটা জমাদানের সিরিয়াল পড়েছে ১৩০৭ নম্বর। তার বায়োডাটা জমাদানের সময় প্রচুর সংখ্যক পদপ্রত্যাশী ছিলেন বলে জানান তিনি। এর আগে বিকাল ৪টায় ডবলমুরিং থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ তৌহিদুল ইসলাম আরদীন ১১৭৮ নম্বর সিরিয়ারে বায়োডাটা জমা দেন। জানা গেছে, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের জন্য অতীতে কখনো এত পদপ্রত্যাশী ছিলেন না। দলের সুসময়ে সবাই নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হতে চান। এখন যারা বায়োডাটা জমা দিচ্ছেন তাদের বেশিরভাগকেই দলের দুঃসময় দেখা যায়নি। রাজপথে আন্দোলন–সংগ্রামে ছিলেন না, জেল–জুলুম কি জিনিস তারা চোখে দেখেনননি বলে মন্তব্য করেছেন নগর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শিবু প্রসাদ চৌধুরী।
এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি এম এ আহাদ চৌধুরী রায়হান আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশীদের বায়োডাটা জমাদানের আজ (গতকাল) শেষ দিন ছিল। আজ (গতকাল) ১৩২০ জনের মতো জমা দিয়েছেন। কিন্ত পদপ্রত্যাশীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় সময় আরো দুদিন বাড়ানো হয়েছে। এই সংখ্যা দুই হাজার পর্যন্ত হতে পারে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। এই লক্ষ্যে জেলা কমিটিতে পদ প্রত্যাশীদের কাছ থেকে বায়োডাটা চেয়েছে। তাদের রাজনৈতিক এবং পারিবারিক ব্র্যাকগ্রাউন্ড জানান জন্য, প্রকৃত ছাত্রত্ব আছে কিনা, প্রকৃত মেধাবী ছাত্র কিনা তা জানার জন্য।
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ কেন্দ্র থেকে মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল ২০১৩ সালে। ইতোমধ্যে চারবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃত্বের পরিবর্তন ঘটলেও ১০ বছর ধরে নগর ছাত্রলীগের নতুন কমিটি হয়নি।
২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর ইমরান আহমেদ ইমুকে সভাপতি ও নুরুল আজিম রনিকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৪ জনের আংশিক কমিটি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর ২০১৪ সালের ১১ জুলাই আগের ২৪ জনসহ ২৯১ সদস্যের নগর ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ২০১৮ সালের ১৯ এপ্রিল ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। পরে ওই কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।