চট্টগ্রাম বন্দর এবং আইসিডিগুলো থেকে কন্টেনার পরিবহন আবারো বন্ধ করে দেয়ার দিকে এগুচ্ছেন প্রাইম মুভার ট্রেইলার, ফ্লাটবেড লো–বেড ও সেমি লো–বেড মালিক–শ্রমিকেরা। ১১ দফা দাবিতে তারা অচিরেই আন্দোলন শুরু করতে যাচ্ছেন বলে আভাস দিয়েছেন। চট্টগ্রাম বন্দর এবং আইসিডিগুলো থেকে সড়ক–মহাসড়কে পণ্য পরিবহন খাতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সেক্টরে অচলাবস্থা তৈরি হলে তা বন্দরের সার্বিক কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
সূত্র জানিয়েছে, প্রাইম মুভার ট্রেইলার, ফ্লাটবেড, লো–বেড ও সেমি লো–বেড মালিক শ্রমিকেরা সড়ক পরিবহন আইন বাতিল অথবা কিছু ধারা সংশোধনসহ ১১ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন। ইতোপূর্বেও তারা পণ্য পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
১১ দফা দাবির মধ্যে সড়ক পরিবহন আইন–২০১৮ বাতিল অথবা মাত্রাতিরিক্ত জরিমানার বিধান রাখার ধারা ও উপধারাগুলো সংশোধন, প্রাইম মুভার ট্রেইলার ও ফ্লাটবেড গাড়ির ওজন ও মাইলের ভিত্তিতে ভাড়া নির্ধারণ করে সরকারি নীতিমালা প্রণয়ন, পূর্বের রেজিস্ট্রেশনকৃত প্রাইমমুভার ট্রেইলার বিআরটিএ কর্তৃক একই রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনা এবং কন্টেনারবাহী ২০ ফুট গাড়ির ফ্লাটবেড নামকরণ উল্লেখ, অতিরিক্ত চাকা সংযোজন, লো–বেড, সেমি লো–বেড ও কন্টেনারবাহী ২০ ফুট গাড়ির ধরণ পরিবর্তনের নামে মামলা ও পুলিশি হয়রানি বন্ধ, ট্যাক্স টোকেন, রুট পারমিটসহ বিভিন্ন করের উপর আরোপিত ভ্যাট ও অন্যান্য ফি প্রত্যাহার করে একক ডকুমেন্টের আওতায় আনা, ভাড়ায় চালিত গাড়ির অগ্রিম আয়কর র্স্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে ট্যাক্স টোকেন ফি অর্ধেক করা, বিআরটিএ কর্তৃক চালকদের পেশাদারী ভারী লাইসেন্স প্রদান, দেশের বিভিন্ন স্কেল লোড একই নীতিমালার অর্ন্তভুক্ত করা ও ব্রিজে লোড কন্ট্রোল নীতিমালার নামে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় প্রাইমমুভার ট্রেইলার টার্মিনাল দেয়ার পাশাপাশি বন্দরের অভ্যন্তরে পণ্য বোঝাই গাড়ির জন্য নির্দিষ্ট পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা, বাংলাদেশ শ্রম আইনানুসারে সাংঘর্ষিক আইন বাতিল করে সংস্কার করা এবং বাংলাদেশের সড়ক–মহাসড়কে চলাচলরত সকল পণ্য পরিবহন হতে মালামাল চুরি, ডাকাতি এবং ড্রাইভার ও হেলপারদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে আন্দোলন করা হচ্ছে। তাদের দাবি দাওয়া মেনে নেয়া না হলে গাড়ি চালানো সম্ভব হবে না বলেও সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার ও ফ্লাটবেড ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন গতকাল দৈনিক আজাদীকে জানান, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এভাবে ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তাই আমরা কঠোর কর্মসূচির চিন্তাভাবনা করছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা একটি আল্টিমেটাম দিয়ে আমাদের গাড়িগুলো চালানো বন্ধ করে দেবো।