তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনের আশ্বাসে ১১ ঘণ্টা পর মূল ফটক খুলে দেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় চবি উপ–উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মো. শামীম উদ্দিন খান এবং উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিনের উপস্থিতিতে এবং তাদের আশ্বাসে মূল ফটক খুলে দেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলক্রসিং এলাকায় এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা ঘটে। এরপর রাত দেড়টায় প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এর আগেও স্থানীয়দের দ্বারা হামলা ও মারধরের শিকার হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কোনো বিচার হয়নি। প্রশাসন জানায়, শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ও তাদের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের সময় থেকে ক্যাম্পাসে চক্রাকারে গাড়ি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রবিউল হাসান সাফি বলেন, আমার বন্ধুকে হামলার পরই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডিকে দুই ঘণ্টা ধরে ফোন করি। কিন্তু কাউকে পাইনি। পরে আমরা গেটে তালা বন্ধ করে ফিরে যাই। এরপর সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে অবস্থা করি। দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয় এসে অভিযুক্ত সিএনজি চালককে বিচারের ও বিশ্ববিদ্যালয়ে চক্রাকারে গাড়ি চালু করার আশ্বাস দেওয়ার পর আমরা গেট খুলে দিই।
মারধরের শিকার রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুলতানুল আরেফিন বলেন, আমি রেলক্রসিংয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ সময় একটা সিএনজি আমার পায়ের ওপর চাকা উঠিয়ে দেয়। তখন সিএনজি ড্রাইভারের সঙ্গে আমার কিছুটা বাগবিতণ্ডা হয়। এরপর বাইরে থেকে কিছু ছেলে এসে আমার বাইকের সামনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় লেখা দেখেই গালাগালি ও মারধর শুরু করে।
চবির উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন বলেন, প্রথমত আমাদের শিক্ষার্থীর সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। যে সিএনজি ড্রাইভার এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাকে আমরা চিহ্নিত করেছি এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমরা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় চক্রাকারে গাড়ি চালুর চেষ্টা করছি। ইউজিসি থেকে আমরা আশ্বাসও পেয়েছি। আমাদের সামনে একটা বড় সমাবর্তন রয়েছে। এই সমাবর্তনকে সামনে রেখেই বিশ্ববিদ্যালয় চক্রাকারে গাড়ি চালুর পরিকল্পনা করছি।