দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ১১ এপ্রিল নির্ধারিত সব নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। ওই দিন দেশের ৩৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ, ১১টি পৌরসভা এবং একটি সংসদীয় আসনে উপ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে কমিশন বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে অবহিত করেন।
উল্লেখ্য, সন্দ্বীপের ১৩টিসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের ২৮টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণের কথা ছিল ১১ এপ্রিল। একইদিন কক্সবাজারের চকরিয়া ও মহেশখালী পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠানেরও কথা ছিল। এর মধ্যে সন্দ্বীপের বাউরিয়া, গাছুয়া, সন্তোষপুর, আমানউল্ল্যা, হরিশপুর, রহমতপুর, আজিমপুর, মুছাপুর, মাইটভাঙা, সারিকাইত, মগধারা, হারামিয়া ও দীঘাপাড় ইউনিয়নে ভোটগ্রহণের দিনক্ষণ নির্ধারণ ছিল। এছাড়া মহেশখালীর ধলঘাটা, হোয়ানক, মাতারবাড়ি, কুতুবজোম, কুতুবদিয়া আলী আকবর ডেইল, বড়ঘোপ, দক্ষিণ ধুরং, কৈয়ারবিল, লেমশীখালী, উত্তর ধুরুং, টেকনাফের হ্নীলা, সাবরাং, সেন্টমার্টিন, টেকনাফ ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নে নির্বাচনের কথা ছিল।
এদিকে গতকাল অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ১১ এপ্রিল লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপ নির্বাচন, প্রথম ধাপের ৩৭১ ইউপি নির্বাচন এবং ষষ্ঠ ধাপে ১১ পৌরসভার নির্বাচন সার্বিক করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে কমিশন স্থগিত করেছে। তফসিলে ঘোষিত ভোটের তারিখের ১০ দিন আগে এসব নির্বাচন স্থগিত করা হল। এক প্রশ্নের জবাবে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এসব ভোট হবে না। দেশের অবস্থা স্বাভাবিক হলে নির্বাচন যে অবস্থায় বন্ধ হয়েছিল, সেখান থেকে ভোটের প্রক্রিয়া আবার শুরু করা হবে। এসব নির্বাচনী এলাকায় প্রচারে ছিলেন প্রার্থীরা। স্থগিতের পর সব ধরনের প্রচার এখন বন্ধ থাকবে। পরে যখনই ভোটের তারিখ দেওয়া হবে, এই প্রার্থীরাই তখন নির্বাচনে অংশ নেবেন।