১১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩টি প্যাকেজে কাজের দরপত্র উন্মুক্ত

পটিয়া প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক প্রশস্তকরণ | বৃহস্পতিবার , ২৩ মার্চ, ২০২৩ at ৮:৩৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামকক্সবাজার মহাসড়ক প্রশস্তকরণে ১১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩টি প্যাকেজএ দরপত্র উন্মুক্ত করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ১৫ কিলোমিটার অংশে সড়কটি ১৮ ফিট থেকে ৩৪ ফিটে প্রশস্ত করে স্ট্যান্ডার্ড টু লাইনে উন্নীত করা হচ্ছে। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদপত্রে এ তিনটি প্যাকেজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্র উন্মুক্ত হওয়ায় আগামী মে মাসে এ তিন প্যাকেজে সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ শুরু হবে বলে জানান, দোহাজারী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ।

 

সড়ক প্রশস্তকরণে ৩টি প্যাকেজে কাজগুলো হচ্ছে পটিয়া শহরাংশ (ইন্দ্রপুল থেকে শ্রীমাই পর্যন্ত), বিজিসি ট্রাস্ট হতে মক্কা পেট্রোল পাম্প ও মক্কা পেট্রোল পাম্প থেকে সাতকানিয়া মৌলভীর দোকান পর্যন্ত। এই ৩টি কাজে দরপত্র মূল্যায়ন শেষে আগামী দুই মাসের মধ্যে সড়ক প্রশস্তকরণে কাজও শুরু করা হবে।

এছাড়াও সাতকানিয়ার মৌলভীর দোকান থেকে কেরানীহাট পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণের জন্য প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানা যায়। এর পূর্বে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার ১২ কিলোমিটার অংশ সড়কটি ১৮ ফিট থেকে ৩৪ ফিটে প্রশস্ত করে স্ট্যান্ডার্ড টু লাইনে উন্নীত করা হয় এবং

প্রায় দশটি বাঁক সরলিকরণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। মহাসড়কের পটিয়া ক্রসিং থেকে উপজেলার বাদামতল পর্যন্ত প্রথম ধাপে ৬ কিলোমিটার সড়ক ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮ ফিট থেকে ৩৪ ফিট প্রশস্ত করে স্ট্যান্ডার্ড টু লাইনে উন্নীত করা হয়েছে। একইভাবে দ্বিতীয় ধাপে মহাসড়কের পটিয়া উপজেলার

বাদামতল থেকে ইন্দ্রপুলের পশ্চিমাংশ পর্যন্ত ৫.৮ কিলোমিটার সড়কটিও প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮ ফিট থেকে ৩৪ ফিট প্রশস্ত করে টু লাইনে উন্নীত করার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

জানতে চাইলে দোহাজারী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ জানান, মহেশখালীতে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর, মাতারবাড়ি পাওয়ার প্ল্যান্টসহ মহেশখালী ও কক্সবাজারে সরকারের বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে। এসব প্রকল্প শেষ হলে চট্টগ্রামকক্সবাজার মহাসড়কের উপর যানবাহনের চাপ প্রচুর পরিমাণে

বাড়বে। তাই চট্টগ্রামকক্সবাজার মড়াসড়ক ৬ লাইনে উন্নীত করার কোন বিকল্প নেই। তিনি আরো জানান, বৈদেশিক অর্থায়নে এ প্রকল্প সম্পাদনের জন্য সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যেহেতু প্রকল্পটি বাস্তবায়ন সময়সাপেক্ষ, তাই সড়কটি ১৮ ফিট থেকে ৩৪ ফিটে প্রশস্ত করে স্ট্যান্ডার্ড টু লাইনে উন্নীত করা হচ্ছে। এতে করে যানজট নিরসন হয়ে জনদুর্ভোগ কমবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিভিন্ন উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহার
পরবর্তী নিবন্ধহয়রানিমূলক মামলা না করতে ১৬ থানার ওসিকে নির্দেশ