বাঁশখালীর ঋষিধামে আগামী শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে ১১দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলা। এতে দেশ–বিদেশের প্রায় অর্ধকোটি ভক্তের সমাগম হতে পারে বলে আশা করছেন আয়োজকরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ তথ্য জানান কুম্ভমেলা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি সুকুমার চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কুম্ভমেলা আয়োজনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে দেশ–বিদেশ থেকে সাধু–সন্ন্যাসীরা আসতে শুরু করেছেন।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন পণ্যের পসরা নিয়ে মেলায় আসতে শুরু করেছেন দোকানিরা। ১১ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় রয়েছে– শ্রীগুরু মহারাজের পূজা, বর্ণাঢ্য মহাশোভাযাত্রা, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণ, সমবেত প্রার্থনা, চণ্ডীপূজা, সাধুভান্ডারা, গঙ্গাস্নান ও মহাস্নান, দশমহাবিদ্যা পূজা ও প্রতিমা প্রদর্শনী, রাধাকৃষ্ণের অভিষেক, মহাদেবের রুদ্রাভিষেক, অন্নকুট উৎসব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটক, বৈষ্ণব ও ঋষি সম্মেলন, ধর্মীয় মহাসম্মেলন, ষোড়শপ্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞ, বস্ত্রদান, গ্রামীণ মেলা ও দীক্ষা দান। আয়োজকরা জানান, এবার কুম্ভমেলার সম্ভাব্য বাজেট ধরা হয়েছে আড়াই কোটি টাকা। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন একবিংশতম আন্তর্জাতিক ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অনুপ বরণ দাশ, জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন, চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি লায়ন আশীষ কুমার ভট্টাচার্য্য, কুম্ভমেলা উদ্যাপন পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী তাপস কুমার নন্দী, অর্থ সম্পাদক তড়িৎ গুহ, বাঁশখালী পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি কাউন্সিলর প্রণব দাশ, অধ্যাপক রূপন ধর, লায়ন দুলাল চন্দ্র দে, লায়ন তাপন কান্তি দাশ, প্রদীপ গুহ, নন্দিতা দাশ, রাধাদেবী টুন্টু মুন, মৌসুমী চৌধুরী প্রমুখ।