মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধে গঠিত বিএফআইইউ এর প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে তদন্তাধীন নয়টি মামলার বিপরীতে ৮৬৬ কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে বাজেয়াপ্ত করা ২৭ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা পড়েছে বলে এক প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে আর্থিক অনিয়ম তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত গোয়েন্দা সংস্থাটি। খবর বিডিনিউজের।
গতকাল শনিবার বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) আয়োজিত এক সেমিনারে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। ‘বাংলাদেশে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধে বিএফআইইউর ২০ বছর’ শীর্ষক সেমিনারটি রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।
এদিকে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের বিষয়ে জানতে সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের (এসএনবি) কাছে আবারও তথ্য চেয়ে আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএফআইইউ এর অতিরিক্ত পরিচালক মো. কামাল হোসেন। তিনি জানান, প্রতিবারের মত এবারও তথ্য চাওয়া হয়েছে বিএফআইইউ এর পক্ষ থেকে।
বৃহস্পতিবার এসএনবি তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে সুইস ব্যাংকগুলোর কাছে বিভিন্ন দেশের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের দায় অর্থ্যাৎ গচ্ছিত অর্থ ও সম্পদের তথ্য প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, ২০২১ সালে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের নামে জমা টাকার পরিমাণ ৫৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঙ্ক। ১৯৯৬ সালের পর থেকে যা সর্বোচ্চ।