১০ মাসে বিদেশিরা নিয়েছে ১৩ কোটি ডলার, শীর্ষে ভারতীয়রা

সংসদে তথ্য

| মঙ্গলবার , ২৫ জুন, ২০২৪ at ৬:০৭ পূর্বাহ্ণ

চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকরা তাদের আয় থেকে ১৩ কোটি ৫ লাখ ৮০ হাজার ডলার নিজ দেশে নিয়ে গেছেন বলে সংসদকে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। নিজ দেশে অর্থ নেওয়ায় এগিয়ে ভারতীয়রা। এই সময়ে তারা নিয়েছেন ৫ কোটি ৬ লাখ ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার নিয়েছে চীনারা। খবর বিডিনিউজের।

এছাড়া শ্রীলঙ্কানরা ১ কোটি ২৭ লাখ ১০ হাজার, জাপানিজরা ৬৮ লাখ ৯০ হাজার, দক্ষিণ কোরিয়রা ৬২ লাখ ১০ হাজার, থাইল্যান্ডের নাগরিকরা ৫৩ লাখ, যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা ৩৫ লাখ ৯০ হাজার, পাকিস্তানিরা ৩২ লাখ ৪০ হাজার, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা ৩১ লাখ ৭০ হাজার, মালয়েশীয়রা ২৪ লাখ এবং অন্যান্য দেশের নাগরিকরা ২ কোটি ১৯ লাখ ২০ হাজার ডলার নিজ দেশে নিয়ে গেছেন। গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে ফরিদপুর৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল কাদের আজাদের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী। এর আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়। একই প্রশ্নে মন্ত্রী এও জানান যে, বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের বছরে আয় বিষয়ে তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সংরক্ষিত নেই।

কোনো ব্যাংকে আর্থিক সংকট নেই: চট্টগ্রাম১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমানের প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, কোনো ব্যাংকেই আর্থিক সংকট নেই। তবে কিছু ব্যাংকে উচ্চ খেলাপি ঋণ, মূলধন ঘাটতি এবং তারল্য সমস্যা বিদ্যমান আছে। ৯টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন করে কর্মকর্তা পর্যবেক্ষক হিসেবে এবং ৭টি ব্যাংকে কোঅর্ডিনেটর হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন বলেও জানান তিনি।

চট্টগ্রাম১১ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় আমানতকারীরা নানা স্কিম, ক্ষুদ্র শিল্পখাতসহ আয়উৎসারী বিভিন্ন খাতে সরাসরি বিনিয়োগ করছেন। আস্থাহীনতা ও মূল্যস্ফীতির কারণে নয়, বরঞ্চ বিবিধ বিনিয়োগ প্রকল্পসমূহ আকর্ষণীয় হওয়ায় ও সরাসরি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির আমানত কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।

আগামী বছর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের আশা: আব্দুল লতিফের আরেক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অর্থ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। মূল্যস্ফীতির কারণ হিসেবে বৈশ্বিক পণ্য বাজারে সরবরাহে অনিশ্চয়তা, ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া এবং দেশের বাজারে সরবরাহ শৃঙ্খলে ত্রুটিকে তুলে ধরেন মাহমুদ আলী। অর্থনৈতিক এ সংকট কাটিয়ে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথাও জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি, খাদ্যপণ্য ও সারের মূল্য কমে আসা, খাদ্য ও সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য উদ্যোগ এবং অসহায় গরিব মানুষকে সুরক্ষা দেবার জন্য যে সকল কার্যক্রম চলছে তার প্রভাবে আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আমরা মনে করছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন ছিল চমেক
পরবর্তী নিবন্ধতৃতীয় কিস্তিতে ১.১৫ বিলিয়ন ডলার অনুমোদন আইএমএফের