১০ বছর পর বিচার শুরু, বাবার বিরুদ্ধে ছেলের সাক্ষ্য

দোররা মেরে মেয়ে খুন

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৫ নভেম্বর, ২০২২ at ৭:১৬ পূর্বাহ্ণ

পাহাড়তলীতে দোররা মেরে কন্যা উম্মে হাফসা হত্যা মামলায় বাবার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন ছেলে আবু দাররা। তিনি মামলার বাদী। গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. আমিরুল ইসলাম তার সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। বাদীর আইনজীবী জিয়া হাবীব আহসান আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, চার্জগঠন পরবর্তী আসামিরা উচ্চ আদালতে মামলা স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছিলেন। যার কারণে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করা যাচ্ছিল না। সম্প্রতি তাদের সেই আবেদন উচ্চ আদালত বাতিল করে দেন। এরই ধারাবাহিকতায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। বাদীসহ দুইজন আজকে (গতকাল) সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আগামী ১১ জানুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। ভিকটিম উম্মে হাফসাসহ চার কন্যাকে চির কুমারী করে রেখে নিজের মতবাদ প্রচারের কাজে ব্যবহার করতে সংকল্পবদ্ধ ছিলেন তাদের বাবা মো. আব্দুল মতিন (কথিত পীর)। এর মধ্যে বড় মেয়ে উম্মে হাবিবা ফুফাতো ভাইকে গোপনে বিয়ে করে বসেন। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি উম্মে হাবিবা, উম্মে হাফসাসহ অন্যান্য কন্যাদের উপর নির্যাতন শুরু করেন। বিয়ের বিষয় গোপন করার দায়ে বিভিন্ন সময় বেত ও লাঠি দিয়ে দোররা মেরে তাদের গুরুতর জখম করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সালের ১৯ আগস্ট পাহাড়তলীর গ্রিনভিউ আবাসিক এলাকায় মাথা ন্যাড়া করে হাফসাকে ফের দোররা মেরে গুরুতর জখম করা হয়। একপর্যায়ে হাফসা মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় হাফসার ভাই আবু দাররা বাদী হয়ে আদালতে মামলাটি করেন। যেখানে মো. আব্দুল মতিনের পাশাপাশি তার ভাই মো. আব্দুর সবুর, দুই স্ত্রী রওশন আরা বেগম ও ডা. শাহিদা বেগম, বোন বিনু বেগম এবং নারগিস বেগম ও শফি কোম্পানি নামের অজ্ঞাত দুইজন। আদালতসূত্র জানায়, তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ৩০ এপ্রিল চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিলে আদালত মামলাটি ফের তদন্তে পাঠান। একপর্যায়ে গোয়েন্দা পুলিশ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করলে ২০১৩ সালের ১৫ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধওএমএসের চাল কিনতে লাইনে দাঁড়িয়ে ‘হৃদরোগে’ গৃহবধূর মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধমির্জা ফখরুলের উচিত ছিল জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে পদ্মা সেতুতে ওঠা : তথ্যমন্ত্রী