টেস্ট ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০ বছর পর জয়ের স্বাদ পেল শ্রীলঙ্কা। সবশেষ ২০১৪ সালের লিডস টেস্টে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল লঙ্কানরা। মাঝের এক দশকে ১০ টেস্টের ৯টি জিতে ইংল্যান্ড। ড্র হয় অন্যটি। এবারের সিরিজে ওভাল টেস্টের চতুর্থ দিন মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ৮ উইকেটে জিতল শ্রীলঙ্কা। ওয়ানডে ঘরানার ব্যাটিংয়ে মাত্র ৪০.৩ ওভারে ২১৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করল তারা। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ অবশ্য আগেই নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড। লংকানদের জয়েল জণ্য যখন মাত্র ৫ রান দরকার তখন ধারাভাষ্য কক্ষে নাসের হুসেইন বলছিলেন ম্যাথিউস কি ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করবেন ? সে পথে হাঁটলেন না অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। এক রান নিয়ে স্ট্রাইক দিলেন পাথুম নিসাঙ্কাকে। এক বল পর শোয়েব বাশিরকে স্কয়ার কাটে চার মেরে ম্যাচ শেষ করলেন এই ওপেনার। একইসঙ্গে ঘোচালেন ১০ বছরের অপেক্ষা। ইংল্যান্ডের মাঠে এশিয়ার কোনো দেশের এটিই সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ড। ২০১০ সালে হেডিংলি টেস্টে ১৮০ রান তাড়া করে জিতেছিল পাকিস্তান।
সান্ত্বনার জয়ের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার নায়ক নিসাঙ্কা। প্রথম ইনিংসে ঝড়ো ৬৭ রানের পর এবার তার ব্যাট থেকে এলো ১২৪ বলে ১২৭ রানের ঝকঝকে ইনিংস। ১৩ চারের সঙ্গে দুই ছক্কায় ইনিংস সাজান ২৬ বছর বয়সী ওপেনার। শ্রীলঙ্কার হয়ে সফল রান তাড়ায় তৃতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস এটি। জেতা ম্যাচে চতুর্থ ইনিংসে নিসাঙ্কার চেয়ে বেশি রানের ইনিংস আছে শুধু কুসাল পেরেরা (১৫৩*) ও আরভিন্দ ডি সিলভার (১৪৩*)। জয়ের সুবাস গায়ে মেখেই তৃতীয় দিন শেষ করেছিল শ্রীলঙ্কা। চতুর্থ দিন বাকি থাকা ১২৫ রান করতে তাদের লেগেছে ২৫.৩ ওভার। দিনের শুরুতে দারুণ এক বাউন্সারে ৩৭ বলে ৩৯ রান করা কুসাল মেন্ডিসকে ফেরান গাস অ্যাটকিনসন। কিছুটা আশা জাগে স্বাগতিক দলে। কিন্তু সেটা মিলিয়ে দিতে বেশি সময় নেননি নিসাঙ্কা ও ম্যাথিউস। ওয়ানডের মতো করে ওভারপ্রতি পাঁচের বেশি রান তুললেও কখনও তেমন ঝুঁকি নেননি দুই ব্যাটসম্যান। তাদের ১১১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ম্যাচ জিতে যায় শ্রীলঙ্কা। ১০৭ বলে ১১ চারে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন নিসাঙ্কা। এরপর আরও দুটি করে চার–ছক্কা মারেন তিনি। ৬১ বলে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন ম্যাথিউস। নিসাঙ্কার হাতেই ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। সিরিজ সেরা নির্বাচিত হন জো রুট।