নয় বছর আগে নগরের ডবলমুরিং থানায় পুলিশ কনস্টেবল ফরিদ উদ্দিন হত্যায় জড়িতদের পালিয়ে যেতে সাহায্যকারী মো. মনির নামে এক অটোরিকশা চালককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গত সোমবার রাতে হালিশহর নয়াবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি রাতে সংঘটিত ওই হত্যাকাণ্ডে দায়ের হওয়া মামলায় গত ৭ মে রায় হয়েছে। এতে মনিরকে ১০ বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন আদালত।
র্যাব জানায়, ঘটনার দিন বায়েজিদ বোস্তামী থানার অঙিজেন এলাকা থেকে দায়িত্ব পালন শেষে আগ্রাবাদ সিএন্ডবি কলোনি এলাকায় নিজ বাসায় ফিরছিলেন কনস্টেবল ফরিদ উদ্দিন। পথে ডবলমুরিং এলাকায় ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন তিনি। একপর্যায়ে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে আহত হন ফরিদ। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় ফরিদকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ডবলমুরিং থানার তৎকালীন এসআই আমিনুল হক বাদী একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে দুইজন মারা যান। পরবর্তীতে বাকি চারজনকে আসামি করে ২০১৫ সালের ১৭ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট জমা দেয়া হয়। ২০১৬ সালের ৫ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। আদালত ১৫ জনের সাক্ষী গ্রহণ করে।
সর্বশেষ গত ৭ মে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামি জসিম উদ্দিন রাজু, মো. মাবুদ দুলাল ও অর্জুন দে’কে যাবজ্জীবনের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন। মনিরকে ১০ বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। র্যাব–৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার জানান, পুলিশ সদস্য ফরিদকে ছুরিকাঘাতে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা ঘটনার পর ছিনতাইকারীদের পালিয়ে যেতে মনির তার অটোরিকশার মাধ্যমে সাহায্য করে।












