১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে লিজ ট্রাস

এই প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রীর নিয়োগ ইংল্যান্ডের বাইরে

| বুধবার , ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৪:৪২ পূর্বাহ্ণ

অভিষেক হয়েছে ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের। বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ট্রাসকে সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
গতকাল মঙ্গলবার ট্রাসের চেয়ে কিছুক্ষণ আগেই বালমোরাল প্রাসাদে পৌঁছান জনসন। যুক্তরাজ্যের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পদত্যাগ করেই তিনি প্রাসাদ ছেড়ে যান। এর আধঘণ্টা পর সেখানে উপস্থিত হন লিজ ট্রাস। প্রথমে জনসনের পদত্যাগপত্র সাদরে গ্রহণ করেছেন রানি। এরপরই লিজ ট্রাসকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রানি। খবর বিডিনিউজের।
ক্ষমতা হস্তান্তরের এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে খুবই সাবধানতার সঙ্গে। যাতে কোনও প্রধানমন্ত্রী না থাকার সময়টা বেশিক্ষণ না হয়। সাধারণত বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ আর নতুন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়া কয়েক মিনিটের ব্যাপার। তবে সেক্ষেত্রে ঐতিহ্যগত দিক থেকে এই আনুষ্ঠানিকতা বাকিংহাম প্যালেসে হওয়ায় সেখানে যেতে সময় লাগে কম। কিন্তু এবার বারমোরাল প্রাসাদে অনুষ্ঠান হওয়ায় বরিস জনসন এবং লিজ ট্রাস দুইজনকেই বেশখানিকটা পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। তাই জনসনের পদত্যাগ এবং ট্রাসের অভিষেকের মধ্যে সময়টাও একটু বেশি লেগেছে।
লিজ ট্রাস এবং জনসন দুইজন আলাদা আলাদাভাবে বালমোরালে যান। সেখানে যাওয়ার আগে জনসন ১০নং ডাউনিং স্ট্রিটে বিদায়ী ভাষণ দেন। সেই ভাষণে তিনি তুলে ধরেন ব্রেক্সিট, কোভিড টিকাসহ তার সরকারের নানা সফলতা। বাদ যায়নি ইউক্রেন প্রসঙ্গও। ভাষণে জনসন নিজেকে একটি ‘বুস্টার রকেটের’ সঙ্গে তুলনা করেন, যে তার কাজ সমাধান করেছে। তার বক্তব্যের সময় সেখানে ছিলেন এমপি, সহযোগী এবং তার মিত্ররাও। স্ত্রী ক্যারিও তার সঙ্গে ছিলেন।
রানির নিয়োগ পাওয়ার পর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তার প্রথম বক্তৃতায় লিজ ট্রাস দেশের অর্থনৈতিক সমস্যাগুলির মোকাবেলায় একটি সাহসী পরিকল্পনা তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর দশ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে দাঁড়িয়ে ট্রাস বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে ব্রিটেন মারাত্মক এক বৈশ্বিক বাধার মুখোমুখী হয়েছে। কিন্তু তিনি যোগ করেন যে এই ঝড় থেকে ব্রিটেন যে বেরিয়ে আসতে পারবে তাতে তিনি নিশ্চিত। তার বক্তব্যে নতুন প্রধানমন্ত্রী সরকারের জন্য তিনটি অগ্রাধিকার তুলে ধরেন – কর কমানো, জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি রোধে পদক্ষেপ এবং স্বাস্থ্যসেবায় সবার সুযোগ তৈরি করা। ব্রিটেন স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের পক্ষে লড়বে যাবে বলেও প্রধানমন্ত্রী ট্রাস অঙ্গীকার করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনেপচুন-ইউরেনাসে মিলিয়ন ক্যারেটের হীরা ‘থাকাও সম্ভব’
পরবর্তী নিবন্ধপ্রিয় নায়ক যেখানে আছ ভালো থেকো : শাবনূর