বিশেষ ট্রাইব্যুনালে জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, সংবিধানের গণতান্ত্রিক সংস্কার ও সুস্থ গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ ১০ দফা দাবিতে বাসদ (মার্কসবাদী) চট্টগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে গতকাল বিকাল ৪টায় নতুন ব্রিজ মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাসদ (মার্কসবাদী) চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়ক শফি উদ্দিন কবির আবিদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির সদস্য রিপা মজুমদার, মো. ফরহাদ, নেভি দে, লাবনী আক্তার, আবদুল্লাহ আল জাওয়াদ, অর্পিতা নাথ প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, অনেক আত্মত্যাগের বিনিময়ে শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটেছে। কিন্তু যে ব্যবস্থা শেখ হাসিনাদের সৃষ্টি করে তার পতন ঘটেনি। একথা স্মরণ করা দরকার যে, বহু রক্তের বিনিময়ে স্বেচ্ছাচারী শক্তির পরাজয় ঘটানোর মধ্য দিয়ে অতীতেও আমাদের দেশে গণআন্দোলন জয়ী হয়েছে, কিন্তু প্রতিবারই গণআন্দোলনের আকাঙ্ক্ষা ভুলুন্ঠিত হয়েছে। এর বিরুদ্ধে শোষিত জনগণের ঐক্য ও গণআন্দোলনই একমাত্র রক্ষাকবচ। এই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণের মনে গড়ে উঠা গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে আমাদের রক্ষা করতে হবে।
সমাবেশ থেকে নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আশু করণীয় হিসেবে ট্রাইব্যুনাল গঠন করে জ্বলাই হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার, শেখ হাসিনাসহ বিদেশে পালিয়ে যাওয়া সকলকে ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখীন করা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, সিন্ডিকেট ভাঙা, শ্রমজীবী ও গরীব মানুষের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু, শহিদদের নামে স্মৃতিফলক নির্মাণ, পঙ্গুত্ব বরণকারীদের আজীবন ভাতার ব্যবস্থা করা, দুর্নীতিবাজদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা ও পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনা, শ্রমিকের মজুরি ও কৃষকের ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা, বন্ধ সকল পাটকল ও চিনিকল চালু, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও জনগণের মত প্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করা, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধনের অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক পদ্ধতি বাতিল, সংবিধানের গণতান্ত্রিক সংস্কারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতিমালা তৈরি এবং অগণতান্ত্রিক সকল আইন ও সর্বজনীন মৌলিক অধিকার পরিপন্থী কালাকানুন বাতিলসহ সাংবিধানিক সংস্কারের রূপরেখা প্রণয়ন করার দাবি জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।