শিল্প–সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ চট্টগ্রামের ১০ জন গুণী ব্যক্তিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা–২০২১ ও ২০২২ প্রদান অনুষ্ঠান একাডেমির অনিরুদ্ধ মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা–২০২১ প্রাপ্ত গুণী ব্যক্তিরা হলেন– নাট্যকলায় প্রদীপ দেওয়ানজী, কণ্ঠ সংগীতে কল্পনা লালা, নৃত্যকলায় কৃষ্ণা বিশ্বাস, চলচ্চিত্রে নাজিমুদ্দিন শ্যামল ও আবৃত্তিতে মিলি চৌধুরী। সম্মাননা–২০২২ প্রাপ্ত গুণী ব্যক্তিরা হলেন– লোক সংস্কৃতিতে কল্পতরু ভট্টাচার্য, ফটোগ্রাফিতে দেব প্রসাদ দাস দেবু, চারুকলায় সৌমেন দাশ, কণ্ঠ সংগীতে মো. মোস্তফা কামাল ও নাট্যকলায় সনজীব বড়ুয়া।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। বিশেষ অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিষদ সদস্য আহমেদ ইকবাল হায়দার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মো. আবু রায়হান দোলন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাট্যজন সাইফুল আলম বাবু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার মো. মোসলেম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে সম্মাননা প্রাপ্ত গুণী ব্যক্তিরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে মোট ১০ জন গুণী ব্যক্তির প্রত্যেককে সম্মাননা হিসেবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃক সনদ, নগদ ২০ হাজার টাকা, উত্তরীয় ও সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব মো. আবুল মনসুর বলেন, প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে সংস্কৃতি কর্মীরা সম্পৃক্ত। সংস্কৃতির প্রথম প্রধান উপকরণ ভাষা। ভাষার মাধ্যমে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে সুসংগঠিত করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা ও বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী সংস্কৃতিবান্ধব। সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে পৃষ্টপোষকতার পাশাপশি সরকার বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গুণীজনদেরকেও সম্মাননা জানানোর সংস্কৃতি চালু করেছে। গুণীজনদের সম্মাননা জানানো তাঁদের কাজের মূল্যায়নের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকেও অনুপ্রেরণা যোগাবে যা চট্টগ্রামের শিল্প–সংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশকে আরো বেগবান করবে।
বিশেষ অতিথি একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার সম্মাননা প্রাপ্ত সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, সকল অপসংস্কৃতিকে বর্জন করার মধ্য দিয়ে আমাদের যে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে তাকে ধারণ ও লালন করতে হবে।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিকসহ প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডে চট্টগ্রাম এগিয়ে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় চট্টগ্রামের জেলার ১৫ উপজেলার ১৯১টি ইউনিয়নে প্রত্যেকটিতে একটি করে খেলার মাঠের পাশাপাশি বিনোদনের জন্য কালচারাল সেন্টার তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। সবশেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ দলীয় নৃত্য ও দলীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।