বন সংরক্ষকের কার্যালয়, চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার বদলি বাণিজ্যের অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল নগরীর নন্দনকানন এলাকায় থাকা বন সংরক্ষকের কার্যালয়, চট্টগ্রামে অভিযান চালিয়েছে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–১ এর সহকারী পরিচালক সাঈদ মো. ইমরান হোসেনের নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট টিম।
অভিযানে গত ৯ জানুয়ারি ৬ টি অফিস আদেশমূলে মোট ৭৬ জন কর্মচারীর বদলিসহ অভিযোগ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ের রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিযান শেষে দুদক কর্মকর্তা সাঈদ মো. ইমরান হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান বন সংরক্ষকের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল। তিনি গত বছরের সেপ্টেম্বরে এখানে যোগ দেন। এরপর চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি একই দিনে তার স্বাক্ষরে ৭৭ জন কর্মচারী বদলি হয়। অভিযোগ রয়েছে, এখানে প্রতিটি বদলির জন্য অনেক টাকা লেনদেন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকার বদলি বাণিজ্য হয়েছে। এটা যাচাই–বাছাইয়ের জন্য আমরা এখানে এসেছি। তিনি বলেন, যাদের বদলি করা হয়েছে তাদের নিয়ম মেনে বদলি করা হয়েছে কিনা সেসব নথিপত্র আমরা নিয়েছি। প্রধান বন সংরক্ষককে আমরা দীর্ঘ তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। আগের কর্মস্থল তথা ফেনীতেও তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। উনি ফেনী বিভাগীয় বন কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। ওই সময় একটি বাগান প্রকল্পে দুই কোটি ৩১ লাখ টাকার আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
সাঈদ মো. ইমরান হোসেন বলেন, তৎকালীন ঢাকার প্রধান বন কর্মকর্তা ইউনুচ আলী দুইবার মোল্লা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেটা আলোর মুখ দেখেনি। আমরা এসব বিষয়েও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তিনি আমাদের কিছু তথ্য দিয়েছেন। কিছু নথিপত্র পেয়েছি। যেগুলো পাইনি সেগুলো কাল পাব। যারা বদলি হয়েছে, তাদের প্রত্যেককে আলাদাভাবে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–১ এর উপ–পরিচালক সুবেল আহমেদ দৈনিক আজাদীকে বলেন, প্রাপ্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বন সংরক্ষকের কার্যালয়, চট্টগ্রামে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। সংগৃহীত উক্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট টিমের পক্ষ থেকে অতি দ্রুত কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।