একজন সদস্যের ব্যক্তিগত মামলার খরচ দি চিটাগাং কো–অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেডের তহবিল থেকে প্রদান করায় সোসাইটির ১০ কর্মকর্তাকে ৯৫ হাজার টাকা করে ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ১২০ দিনের মধ্যে এই টাকা সমিতির তহবিলে জমা দিতে বলা হয়েছে। জেলা সমবায় অফিসার মুরাদ আহাম্মদ স্বাক্ষরিত পত্রে এই নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
জেলা সমবায় অফিসারের কার্যালয়ের এক অফিস আদেশে বলা হয়, দি চিটাগাং কো–অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেডের ২০২১–২০২২ অর্থ বছরের অডিট অফিসার, জেলা সমবায় কার্যালয়ের উপসহকারী নিবন্ধক মিন্টু বড়ুয়ার দাখিলকৃত অডিট প্রতিবেদনে উদঘাটিত আর্থিক অনিয়মের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সোসাইটির সদস্য ডা. তৈয়ব সিকদার আবেদন করেন। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে পাঁচলাইশ থানা সমবায় অফিসার মোহাম্মদ শফিউল আলমকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর দুই সদস্য ছিলেন জেলা সমবায় কার্যালয়ের পরিদর্শক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও বিপ্লব চক্রবর্তী।
তদন্ত কমিটি অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দি চিটাগাং কো–অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেডের সদস্য মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেনের ব্যক্তিগত মামলা খরচ বাবদ ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা সমিতির তহবিল হতে প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠানপূর্বক আইনজীবীর অনুকূলে চেক ইস্যু করে ওই টাকা উত্তোলন করা হয়। ব্যবস্থাপনা কমিটির দশজন সদস্যকে দায়ী করে সমবায় সমিতি আইনে দি চিটাগাং কো– অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেডের তহবিলে উত্তোলনকৃত টাকা জমা প্রদান করার নির্দেশ প্রদান করা হয়।
ব্যস্থাপনা কমিটির সভাপতি এ এ মোহাম্মদ সাইফুদ্দীন, সহ সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইদ্রিছ, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর পারভেজ, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাজ্জাদ, সদস্য মোহাম্মদ জসিমুল আনোয়ার খান, আলাউদ্দীন আলম, মোরশেদ আহমেদ, মোহাম্মদ রাইসুল উদ্দিন, এমদাদুল আজিজ চৌধুরী এবং মোহাম্মদ নুরুল ইসলামকে ৯৫ হাজার টাকা করে ১২০দিনের মধ্যে সমিতির তহবিলে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।